আমিরুল ইসলাম কবির,
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার আমলাগাছী দবীর উদ্দীন বালিকা উচ্চ বিদয়ালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল আলম সরকারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে প্রকাশ, অত্র বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী (কম্পিউটার অপারেটর) সুরাইয়া ফাতেমা আক্তার ইন্নি দীর্ঘ ৮ মাস স্কুলে অনুপস্থিত থাকার পরও বেতন-ভাতা ঠিকই তুলেছেন। ফাতেমা আক্তার ইন্নি ওই ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকের পুত্রবধূ হওয়ায় কোনো নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই তাকে এই সুযোগ সুবিধা প্রদান করেছেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ ক’জন শিক্ষকের সাথে কথা হলে তারা জানান,প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই সুযোগে শিক্ষার্থীদের রেজিঃ ফি ও প্রশংসাপত্র বিতরণ বাবদ যে টাকা আয় হতো,তার কোনো হিসাব তিনি কাউকে দিতেন না।
একই সাথে অত্র বিদয়ালয়ের অধীনে কয়েকটি দোকান ঘর থেকে যে ভাড়া উত্তোলন করা হয়,সেই টাকা এককভাবে ব্যবহারেরও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে শিক্ষক প্রতিনিধি আবু সাইয়েদ আলী প্রধান (ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা),নবীরুল ইসলাম (ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা) শফিকুল ইসলাম বিএসসি প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগসাজশের অভিযোগ উঠেছে।
প্রধান শিক্ষক মাহাবুবুল আলমের সাথে কথা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান,সুরাইয়া ফাতেমা ইন্নির অনিয়মটি তার অজ্ঞাতসারে ঘটেছে। আগামীতে এই রকম অনিয়ম হবে না বলে তিনি অঙ্গীকার করেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আনা আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন।
এই ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নকিবুল হাসান বলেন,যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে জড়িত দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।।