পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:-

কোটা সংষ্কার আন্দোলনের নামে বিএনপি জামায়াতের পরিকল্পিত নৈরাজ্যের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের পটিয়ায় সমাবেশ করেছে পৌরসভা আওয়ামী লীগ।

বুধবার (৩১ জুলাই) বিকেলে উপজেলার আওয়ামী সুপার মার্কেট চত্বরে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ পটিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এম এন এ নাছিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্হায়ী কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি বলেন, বিএনপি জামায়াত বারবার রাজনীতিতে ব্যর্থ হয়ে শিক্ষার্থীদের বিপথগামী করার মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম একটি রাষ্ট্রে যে নগ্ন খেলা শুরু করেছে তা যে কোনো মূল্যে প্রতিহত করা হবে। আন্দোলনের নামে তারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্হাপনায় অগ্নিসংযোগ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা আর জনগণের সম্পদ ভাঙচুর করে ফায়দা লুটার ঘৃণ্য খেলায় মেতে উঠেছে। তাদের অচিরেই আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দেয়া হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের এ নীতিনির্ধারক আরো বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে সহিংসতার সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই দেশ বা মানুষের জন্য ক্ষতিকর কোনো কিছু করতে পারেন না। এ সুযোগে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে বিএনপি-জামায়াত যুক্ত হয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে দেশ জুড়ে এ ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। তারা ১৯৭১ সালের মতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে আবার মেতে উঠেছে। তাদের সঙ্গে নামসর্বস্ব কিছু দল যুক্ত হয়ে মানুষের ভোগান্তি তৈরি করছে। শিক্ষার্থীদের ভুল পথে পরিচালিত করছে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য।এসব দলের উগ্র কর্মীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী স্লোগান ও কার্যকলাপের মাধ্যমে সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনগণকে বিভ্রান্ত করে চলেছে। এদের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের সতর্ক থেকে নিজেদের দাবি আদায়ে রাজনৈতিক বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসার আহবান জানান।

তিনি আরো বলেন, ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত এই রাজনৈতিক গোষ্ঠীকে এখনই প্রতিহত করতে না পারলে পুরো দেশ একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পড়বে। তাই কোটা আন্দোলনের নামে যারা দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে, তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। কোনোভাবেই এই গোষ্ঠীকে ছাড় দেওয়া যাবে না। জামায়াত শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে সরকার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। তাদের নিষিদ্ধের ব্যাপারটি এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, পটিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আইয়ুব বাবুল, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নাছির উদ্দীন, যুবলীগ নেতা ডিএম জমির উদ্দীন, চেয়ারম্যান ইনজামুল হক জসিম, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা প্রজ্ঞাজ্যতি বড়ুয়া লিটন, পটিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ফজলুল হক আল্লাই, নাছির উদ্দীন (পদ্মা), কাউন্সিলর গোফরান রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ্ পলাশ, তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক মন্জুরুল আলম, প্রচার সম্পাদক জয়নাল আবেদীন রাসেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যান সম্পাদক শেখ বেলাল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কাউন্সিলর কামাল উদ্দীন বেলাল, গিয়াস উদ্দীন আজাদ, শফিউল আলম, শেখ সাইফুল ইসলাম, জসিম উদ্দীন, মহিলা কাউন্সিলর বুলবুল আকতার, ফেরদৌস আক্তার, ইয়াছমিন আক্তার, মফিজুর রহমান, আমির হোসেন আমু, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা শাহেদ উদ্দীন সুমন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি সনজিব দাশ, মো. জসিম উদ্দীন, আমির খসরু, প্রনব দাশ, সাধারন সম্পাদক মাহবুবুল আলম, গাফ্ফারুল বশর (মনু), হারুনুর রশীদ, মো. সোহেল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক রবিউল হোসেন রুবেল, পটিয়া পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি নুর আলম ছিদ্দিকী, যুবলীগ নেতা ইকবালুর রহমান ওপেল, মোরশেদুল হক, শাহরিয়ার শাহজাহান, আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, শ্রমিক লীগ নেতা রফিক হাসান, মোজাম্মেল হক মাজু, জহিরুল হক, আমানউল্লাহ্ আমিরী, নাজিম উদ্দীন নাজু, পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শফিউল আলম, নজরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগ নেতা মনজুর মোরশেদ, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির আহমেদ, পটিয়া সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সহ সভাপতি জিয়াউল হক রুবেল প্রমূখ।