1. info@www.dainikdeshbarta.com : bissho sangbad Online : bissho sangbad Online
  2. info@www.dainikdeshbarta.com : Dainik Desh Barta :
রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
পটিয়ায় প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমির উদ্যোগে নজরুল জন্মজয়ন্তী পালিত বোয়ালখালী মেধস আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী বুলবুলানন্দ গিরি মহারাজের দেহত্যাগে শোকের ছায়া বোয়ালখালীতে ১৩০ মৎস্যচাষীর মাঝে মাছের খাদ্য বিতরণ প্রয়াসের অনুদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রকৌশলী এ এম কামাল উদ্দিন চৌধুরী বোয়ালখালীতে টানা বৃষ্টির পানিতে ভেসে আসা ১০ কেজির বোয়াল মাছ চাটখিলে গ্রাম আদালতের দ্বি-মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত বোয়ালখালীতে র‍্যাংগস ইলেকট্রনিকসের শো-রুমের শুভ উদ্বোধন বোয়ালখালীতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের উদ্বোধন বোয়ালখালীতে সিনিয়র স্টাফ নার্স তন্দ্রা দেওয়ানজীর বিদায়ী সংবর্ধনা ভূমি সচেতনতায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে আড্ডা-কুইজ, বোয়ালখালীতে তিনদিনব্যাপী ভূমি মেলা শেষ

বোয়ালখালীতে ভোর ৬টায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেও আল্ট্রা করতে পারলেন না আয়েশা

  • প্রকাশিত: সোমবার, ৫ মে, ২০২৫
  • ১৩২ বার পড়া হয়েছে

বোয়ালখালী প্রতিনিধি:

বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা পেতে দুর্ভোগের শিকার এক প্রসূতি। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করেও মিলল না নিরবচ্ছিন্ন সেবা।

চিকিৎসকের পরামর্শে আল্ট্রাসনোগ্রাম ও হিমোগ্লোবিন পরীক্ষার জন্য সোমবার (৫ মে) ভোর ৬টায় বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন পোপাদিয়া ইউনিয়নের প্রসূতি আয়েশা। আশা ছিল, সকাল থেকেই সেবা পাবেন। কিন্তু বাস্তবতা ছিল ভিন্ন।

সকাল ৯টায় বহির্বিভাগের টিকিট সংগ্রহ করে আল্ট্রাসনোগ্রাম কক্ষে গেলে জানা যায়, ইতোমধ্যে ৫ জন রোগীর তালিকা তৈরি হয়ে গেছে।আয়েশাকে পরিষ্কার বলে দেয়া হয়েছে প্রতিদিন শুধু ৫ জন প্রসূতিকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হবে।
চিকিৎসক শুধুমাত্র  ওই ৫ জনকেই আল্ট্রা করবেন। তারপরও আশার সঞ্চয়ে আয়েশা অপেক্ষায় থাকেন। কিছুক্ষণ পর দেখেন, এক নার্স আরও ৬ জনের নামের তালিকা দিয়ে গেছেন। এতে হতাশা আরও বাড়ে।

দুপুর ১টার দিকে স্থানীয়দের পরামর্শে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাফরিন জাহেদ জিতির রুমে গিয়ে বিষয়টি জানান। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সঙ্গে সঙ্গেই তাকে আল্ট্রা করানোর নির্দেশ দেন এবং একজন সহকর্মীকে সাথে দিয়ে আবার আল্ট্রাসনোগ্রাম কক্ষে পাঠান।

তবে দুর্ভাগ্যবশত ততক্ষণে আল্ট্রাসনোগ্রামের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক সেখান থেকে চলে গেছেন। পুনরায় অপেক্ষার পর দুপুর প্রায় ২টায় চিকিৎসক আসেন এবং আয়েশার আল্ট্রাসনোগ্রাম সম্পন্ন হয়।

আয়েশা বলেন, “ভোরে সব কাজ ফেলে এসেছিলাম, কিন্তু সারাদিন অপেক্ষার পরও সেবা নিশ্চিত হয়নি। এমন ভোগান্তি কল্পনাও করিনি।”

এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাফরিন জাহেদ জিতি বলেন, “সপ্তাহে ছয়দিন নিয়মিত সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আল্ট্রাসনোগ্রাম সেবা দেওয়া হয়। আয়েশা দেরিতে হলেও দুপুর দেড়টার দিকে আল্ট্রা করিয়েছেন। কেন দেরি হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে।”

স্থানীয়দের আশা, ভবিষ্যতে আয়েশার মতো প্রত্যেক রোগী যেন সরকারি স্বাস্থ্যসেবা পায় নির্বিঘ্নে, হয়রানিমুক্তভাবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট