নগরীর বাকলিয়া রাজাখালিতে ২০ লক্ষ টাকা চাদাঁ না পেয়ে ভূমি দখলের চেষ্টা ও সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ নজরুল ইসলাম ও ফখরুল গং এর বিরুদ্ধে। নজরুল ইসলাম ও ফখরুলের নেতৃত্বে রয়েছে এসপি বাবুল আখতারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার মূল আসামী ভোলার বোন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগের শীর্ষ মাদক গডফাদারদের তালিকায় থাকা রাজাখালী এলাকার রাবেয়া বশরী বকুলী ও তার ছেলে মো: রাজু প্রকাশ বুইশ্যা, আবির, আলো ও সাদ্দাম, ভুমি দস্যু সোবহান ও তার ছেলে সাহেদ। নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সিএমপি কমিশনারকে ২৬শে সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগি হাজী মোহাম্মদ জহুরুল আলম অভিযোগ দেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বাকলিয়া থানার রাজাখালি সংলগ্ন বাকলিয়া মৌজার বি. এস. ১/১৮/২ ও ৩৩৭৫ নং নামজারি খতিয়ানের বি, এস ৬৬৫৯ ও ৬৬৬৪ দাগে মোট ০.০৮৯২ একর ভূমির খরিদা সূত্রে মালিক। অত্র ভূমির খরিদা সূত্রে মালিক হাজী মোহাম্মদ জহুরুল আলম এর নামে বি. এস. নামজারি খতিয়ান সুজিত হয়েছে। নজরুল ইসলাম সহ পরস্পরের যোগসাজশে অন্যের জমি দখল সহ নানান অপকর্মে লিপ্ত। অসুস্থ্যতার সুযোগ নিয়ে উক্ত ভূমিতে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে বিভিন্ন সময় বিশ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করছে। অন্যথায় ভূমিতে ঢুকতে দিবে না মর্মে হুমকি প্রদান করেছেন । চক্রটি পরস্পরের যোগসাজশে ভূমিতে ভারি মালামাল রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে গত ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোঃ নজরুল ইসলাম গং এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভূমি রক্ষার্থে ১৪৫ ধারা জারি করে। আদালতে সেই আদেশ বাকলিয়া থানায় করা হলেও থানার পুলিশ কার্যত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই। ভূমিতে দফায় দফায় সন্ত্রাসী হামলা চালায়। সর্বশেষ গতকাল ২৪ শে সেপ্টেম্বর শনিবার রাতে উল্লিখিত ব্যক্তিরা ভূমির সীমানা ভাংচুর করে। একই ভাবে পাশের ভূমির মালিক মোঃ জানে আলমকেও ২০ লক্ষ টাকা চাঁদার জন্য হুমকি প্রদান অব্যাহত রেখেছে নজরুল ইসলাম ও ফখরুল গং। এছাড়াও উক্ত নজরুল ইসলাম ও ফখরুল গং হুমকি দিচ্ছে যে, প্রতিবেশী মোঃ জানে আলম ও তার পরিবারকে যে ভাবে মামলা দিয়ে হয়রানী করছে ঠিক একই ভাবে হাজী মোহাম্মদ জহুরুল আলমকে বুড়া বয়সে এমন পরিণতি ভোগ করতে হবে। ভূমির উক্ত স্থানে আইন শৃংখলা রক্ষায় প্রদত্ত আদালতে নির্দেশনা বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চান।