মোঃ ইদু খান স্টাফ রিপোর্টার:
স্বাধীনতার পরে, ৮৫ সালে নির্মিত হয়েছিল, সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার, কুলঞ্জ ইউনিয়নের, মিলনগঞ্জ বাজারের, সংলগ্ন সুরাইয়া নদীর, উপর দিয়ে ভয়ে যাওয়া এই ব্রীজটি।
হেমন্ত আসলে, এই ব্রীজ দিয়ে, প্রতিদিন অটোরিক্সা, সিএনজি, ট্রলি, পিকাপভ্যানসহ, মোটরসাইকেল যাতায়াত করে। এছাড়াও, স্কুল, মাদ্রাসার, শিক্ষার্থীরা, বাইসাইকেলে যাতায়াত করে, সকাল-বিকাল। জরাজীর্ণ এই ব্রিজের উপর দিয়ে, প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, মানুষকে চলতে হচ্ছে বহু বছর ধরে।
গত দু’বছর পূর্বে, ব্রীজটি চলাচলের সম্পূর্ণ অনপুযোগী হয়ে পড়ায়, কুলঞ্জ ইউনিয়নের, সর্বদলীয় জনগণ, মানববন্ধন করেন, ব্রীজটি দ্রুত মেরামত করার জন্য। গত, দু’বছর আগ থেকেই, এই ব্রীজটি ঝুকিপূর্ণ থাকায়, প্রায় সময়ই যানবাহন উল্টে, নদীর পানিতে পড়ে, মানুষের জান মালের ক্ষতি হওয়ায়, টংগর গ্রামবাসীর উদ্যোগ নিয়ে, বাঁশের ব্রীজ তৈরি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
টংগর গ্রামের জনগন বলেন, বাঁশের ব্রীজ তৈরি হলে, অন্তত হালকা যানবাহন, ভালভাবে যাতায়াত করতে পারবে। আজ, বৃহস্পতিবার, ( ২৩ নভেম্বর), সকালে সরেজমিনে গেলে, কথা হয় টংগর গ্রামের বিশিষ্ট লোকজনের সাথে। তারা জানান, সুরাইয়া নদীর এই শাখাটিকে, এলাকার মানুষ কাটা গাং নদী বলে থাকেন। যদিও এখন আর নদীর কোন অস্থিত্ব নেই। মিলনগঞ্জ বাজার হয়ে, এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন, শত শত মানুষ তাদের উৎপাদিত পণ্য, জরুরী প্রয়োজনে, সিএনজি, ভ্যানগাড়ি, অটোরিক্সা, পিকাপভ্যান ও মোটরসাইকেল দিয়ে, পাশ্ববর্তী জগন্নাথপুর উপজেলা, সিলেটসহ, দেশের বিভিন্ন জায়গায়, যাতায়াত করেন। কিন্তু, ব্রীজটি ঝুকিপূর্ণ থাকায়, এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন। এছাড়াও, প্রায় সময়ই, দুর্ঘটনায় যানবাহনসহ মানুষ নদীতে পড়ে, বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে, বর্তমান টংগর গ্রামবাসী নিজের অর্থে, এলাকাবাসীর জন্য বাঁশের সেতু তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছেন। এতে এলাকার মানুষ অনেক উপকৃত হবেন।
এলাকাবাসী বলেন জানান, সুনামগঞ্জের, দিরাই উপজেলার, কুলঞ্জ ইউনিয়নের, মিলনগঞ্জ বাজার সংলগ্ন, ভাঙা একটি ব্রিজ মেরামত না করায়, চরম বিপাকে পড়েছেন ঐ এলাকার স্কুল, মাদ্রাসার, শিক্ষার্থীসহ, বাজারের যাতায়াতের হাজার হাজার মানুষ।
ব্রীজের পূর্বে রয়েছে, আলহাজ্ব আব্দুল মতলিব উচ্চ বিদ্যালয়, পশ্চিমে রয়েছে, মিলনগঞ্জ বাজার। বাজারের দক্ষিণে রয়েছে, টংগর, রাড়ইল, জারুলিয়া, ও তারাপাশা মাদ্রাসা। তারাপাশা গ্রামে রয়েছে, আরেকটি মহিলা মাদ্রাসা।
এই ব্রীজের আশপাশে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ও একটি বাজার রয়েছে। আমাদের ভাটি অঞ্চলের, সাধারণ জনগণ, ও শিক্ষার্থীরা বর্ষা ছ’মাস, ঝড়বৃষ্টির মধ্যে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, নৌকা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।
এখন হেমন্ত সময়, এই ব্রীজের উপর দিয়ে, জগন্নাথপুর হয়ে, সিলেট ও ঢাকার যাত্রীরা, প্রতিদিন যাতায়াত করবেন। এছাড়াও, শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন চলাফেরা করবেন। বর্তমান, যে অবস্থায় ব্রীজটি রয়েছে, যেকোন মুহূর্তে, ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। তাই, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ, উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, দ্রুত এই ব্রীজটি নির্মাণ করে, জনগণের চলাচলের, সুযোগসুবিধা করার জন্য।
কুলঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একরার হোসেন, একরার জানান, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির ব্রীজের এই স্থানটিতে, প্রায় সময়ই দূর্ঘটনাসহ, এলাকাবাসীর দূর্ভোগের কথা বিবেচনা করে, উপর মহলের কতৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি, এছাড়াও, আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি এই ব্রীজটি নতুন করে নির্মাণ করার জন্য।