1. info@www.dainikdeshbarta.com : bissho sangbad Online : bissho sangbad Online
  2. info@www.dainikdeshbarta.com : Dainik Desh Barta :
বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মহিমান্বিত রাত – মোঃ হোসাইন জাকের চন্দনাইশে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে আজও উত্তাল সোনাইমুড়ী বোয়ালখালীতে খেলাঘরের আলোর মিছিল প্রবাসী সাংবাদিকরা দেশ ও জাতির কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন- প্রসাসের ইফতার অনুষ্ঠানে আরিফুর রহমান চন্দনাইশে ভিজিএফ কার্ড ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপি-এলডিপি সংঘর্ষে দিয়ে আহত-১০ চন্দনাইশ সাতবাড়িয়াতে অভিযানে ০.১০০০ একর জাগায় উদ্ধার চন্দনাইশ সাতবাড়িয়াতে হাফেজ নগর দরবারে ওরশ সম্পন্ন তকরীর করেন মুফতি গিয়াস উদ্দীন আত-তাহেরী; চন্দনাইশ সাতবাড়িয়াতে ঈদে মিলাদুন্নবী মাহফিল অনুষ্ঠিত সাকিয়ার প্রেসিডেন্ট’স স্কাউটস অ্যাওয়ার্ড অর্জন

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল ১৮০ কিলোমিটারের মধ্যে।

  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪
  • ৩৭৫ বার পড়া হয়েছে

মোহাম্মদ আনিছুর রহমান ফরহাদ, ব্যুরো চীফ।

বাংলাদেশ প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল ১৮০ কিলোমিটারের মধ্যে রোববার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাতের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের খেপুপাড়া ও ভারতের সাগর দ্বীপের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসতে থাকা ঘূর্ণিঝড় রেমাল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বাতাসের শক্তি নিয়ে পৌঁছে গেছে উপকূলের ১৮০ কিলোমিটারের মধ্যে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল থাকায় মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ১০ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল রোববার বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩২৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ছিল ৯০ কিলোমিটার; যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছিল।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় ইতোমধ্যে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
বর্তমান উত্তরমুখী গতিপথ অব্যাহত থাকলে প্রবাল ঘূর্ণিঝড় রেমাল রোববার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাতের মধ্যে বাংলাদেশের খেপুপাড়া ও ভারতের সাগর দ্বীপের মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ভারতের আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার সময় বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার থাকতে পারে, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৩৫ কিলেমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসের গতিবেগ থাকে প্রতি ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। বাতাসের গতি ৮৯ থেকে ১১৮ কিলোমিটার থাকলে প্রবল, ১১৯ থেকে ২১৯ পর্যন্ত অতি প্রবল এবং বাতাসের গতি প্রতি ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটারের বেশি থাকলে সুপার সাইক্লোন বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় মিগযাউম, যা পরে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ দিয়ে উপকূল অতিক্রম করে। সে ঝড়ের তেমন কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি।

তার আগে গত ১৭ নভেম্বর দুপুরে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’। তাতে গাছপালা ও ফসলের ক্ষতি ছাড়াও মৃত্যু হয় নয় জনের।
উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
আর উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরগুলোকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলল হয়েছে।
৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত মানে হল, বন্দর প্রচণ্ড এক সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা এর বেশি হতে পারে। প্রচণ্ড ঝড়টি বন্দরকে ডান দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করবে।
১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত মানে হল, বন্দর প্রচণ্ড এক সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়বে। ঝড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা তার বেশি হতে পারে। প্রচণ্ড ঝড়টি বন্দরের উপর দিয়ে বা নিকট দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে।
বাংলাদেশের সংকেত ব্যবস্থায় মাত্রার দিক দিয়ে ৮, ৯ ও ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত একই অর্থ বহন করে। বন্দরের কোন দিক দিয়ে ঝড় বয়ে যাবে, তা বোঝাতে নম্বরের পার্থক্য করা হয়।
জলোচ্ছ্বাস, ভারি বৃষ্টি ও পাহাড় ধসের সতর্কতা
আবহাওয়া অফিস বলছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপের পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সাবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি (৪৪-৮৮ মিলিমিটার/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারি (২৪ ঘণ্টায় ৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে।
অতি ভারি বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে বলেও সতর্ক করেছে আবহাওয়া অফিস।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সারা দেশে নৌচলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও কক্সবাজার বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের সব ধরনের কাজ বন্ধ। বন্দরের জেটি থেকে সব জাহাজকে পাঠানো হচ্ছে সাগরে।
উপকূলীয় জেলাগুলোতে ৮ হাজার ৪৬৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত; আশ্রয় নিয়েছেন ৫২ হাজার ৪৪৬ জন মানুষ।
উপকূলীয় জেলায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট