প্রতারণার অভিযোগে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলা যুবলীগ নেতা বুলবুল হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে দাদন ব্যবসায়ী বশিরুল আলম (৬০) ও মর্তুজা বেগম (৪৫) নামের দুই সহযোগীকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে পুলিশ জেল হাজতে পাঠিয়েছে। আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদিকে যুবলীগ নেতা বুলবুলকে আজ শনিবার রাতে গ্রেফতার করেছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
যুবলীগ নেতা বুলবুল উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। জানা গেছে, দুই বছর আগে উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের পূর্ব কোলাগাঁও গ্রামের দরিদ্র নাসরিন আক্তারের বোন নুর বেগমের বিয়ে ঠিক হয়। এসময় দরিদ্র পরিবারের পক্ষে বিয়ের খরচ যোগানো সম্ভব হচ্ছিলো না। উপায় না পেয়ে ওই সময়ে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকায় ভাগিনা রমিজ উদ্দিনের এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের একটি খালি চেক জমা রেখে দাদন ব্যবসায়ী বশিরুল আলমের কাছ থেকে প্রতি মাসে ১ হাজার ৪ শত টাকা করে দেওয়ার শর্তে ৫০ হাজার টাকা নেন নাসরিন আকতার। পরবর্তীতে নাসরিন আকতার সুদে আসলে দাদন ব্যবসায়ী বশির ও তার স্ত্রী মর্তুজাকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন।
মামলার এজাহারের সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ আগস্ট রাত ১১টায় উপজেলার মনসা সুগন্ধা পার্ক কমিউনিটি সেন্টারের সামনে বশিরের নিকট নাসরিন আক্তারের ভাগিনা রমিজ টাকার বিপরীতে জমা দেওয়া ব্যাংকের চেক ফেরত চাইলে দাদন ব্যবসায়ী বশির ওইদিন রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তার ৩/৪ জন সহযোগী নিয়ে এসে সুগন্ধা পার্কের সামনে রমিজকে মারধর করে।
এ সময় যুবলীগ নেতা ও উক্ত মামলার আসামি বুলবুল হোসেন রমিজের পকেটে থাকা ৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। বুলবুল রমিজের নিকট পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং চাঁদা না দিলে রমিজকে উক্ত চেক দিয়ে আরো বেশি টাকা আদায় করার হুমকি দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মোস্তফা আল মামুন বলেন, আসামিরা যদি ঘটনার সাথে জড়িত না থাকে তারা আদালত থেকে নির্দোষ প্রমানিত হবে। ঘটনা সত্য কিনা মিথ্যা সেটা আদালতে প্রমান হবে এর বাইরে আমার কিছু বলার নেই।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার জানান, প্রতারণার অভিযোগে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামী যুবলীগ নেতা বুলবুলকে আজ শনিবার রাতে গ্রেফতার করেছি। আগামী কাল তাকে আদালতে পাঠানো হবে।