আমিরুল ইসলাম কবির,
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাথপুর ও মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম পুলিশ নিয়োগে, নিয়োগ বোর্ডের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে একক প্রার্থী,কম উচ্চতা এমন প্রার্থী, লিখিত পরীক্ষায় অতিরিক্ত সময় দেয়াসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী এক যুবক।
অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ,উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে দফাদার (পদোন্নতি) ২টি এবং মহল্লাদার (সরাসরি) নিয়োগ ৫টি শূন্য পদে বিধি মোতাবেক দরখাস্ত আহবান করা হয়।
৯নং হরিনাথপুর ইউনিয়নে ৭নং ওয়ার্ডে মহল্লাদার ১টি শূন্য পদের বিপরীতে ২টি এবং ৫নং মহদীপুর ইউনিয়নে ৮নং ওয়ার্ডে মহল্লাদার ১টি শূন্য পদের বিপরীতে ৩টি আবেদন পত্র জমা পড়ে।
গত শুক্রবার ১৩ই ডিসেম্বর গ্রাম পুলিশ নিয়োগে মাঠ হয় উপজেলা পরিষদ চত্বর।
নিয়োগ মাঠে হরিনাথপুর ইউনিয়নের ১টি পদের বিপরীতে ২জন এবং মহদীপুর ইউনিয়নে ১টি পদের বিপরীতে মাত্র ১জন প্রার্থী উপস্থিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও
নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি কামরুল হাসানের নেতৃত্বে বোর্ড সদস্য থানা অফিসার ইনচার্জ জুলফিকার আলী ভুট্টো ও উপজেলা আনসার ভিডিপি কমান্ডার আব্দুল আউয়াল হোসেন শারিরিক যোগ্যতার পরীক্ষা নেন। পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে হরিনাথপুর ইউনিয়নের তাপস চন্দ্র পিতা জিতেন চন্দ্র এবং মহদীপুর ইউনিয়নের একমাত্র প্রার্থী মো. আনারুল ইসলাম পিতা মৃত সেলিম মিয়া বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক শারীরিক যোগ্যতা সর্বনিম্ন উচ্চতা ৫ ফুট ২ ইঞ্চি না হওয়ায় তারা প্রাথমিক ভাবে বাছাই পর্বেই নিয়োগের যোগ্যতা হারায়।
অভিযোগে আরো জানা যায়, লিখিত পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে২০/২৫ মিনিট পর অজ্ঞাত কারনে নিয়োগ বিধির তোয়াক্কা না করে প্রাথমিকভাবে নিয়োগের শারীরিক যোগ্যতা হারানো ওই ২ প্রার্থীকে অতিরিক্ত সময় দিয়ে লিখিত পরীক্ষার সুযোগ করে দেয়া হয়।
পরে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে নিয়োগ বোর্ড অনিয়ম ও স্বজন প্রীতির মাধ্যমে প্রাথমিক ভাবে শারিরিক যোগ্যতা হারানো হরিনাথপুর ইউনিয়নে তাপস চন্দ্র এবং মহদীপুর ইউনিয়নে আনারুল ইসলামকে নির্বাচিত ঘোষণা করে ফলাফল ঘোষণা করেন।
এব্যাপারে হরিনাথপুর ইউনিয়িনের মহল্লাদার পদ বঞ্চিত প্রার্থী কুমার নারায়ন নিয়োগ বোর্ডের এসকল অনিয়ম-স্বজন প্রীতির স্বচ্ছ তদন্ত ও প্রতিকার চেয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা ও নিয়োগ বোর্ড সভাপতি
মো. কামরুল হাসান বলেন,২জন প্রার্থী ২০ মিনিট পরে আসায় তাদেরকে অতিরিক্ত সময় দেয়া হয়েছে। শারীরিক যোগ্যতার বিষয়ে বোর্ডের সদস্য অফিসার ইনচার্জ ও আনসার ভিডিপি কমান্ডার বলতে পারবেন।
থানা অফিসার ইনচার্জ জুলফিকার আলী ভুট্রো বলেন,মাপে সঠিক আছে,প্রাথমিক ভাবে ফিতা ধরতে ভুল ছিল।
উপজেলা আনসার ভিডিপি কমান্ডার আব্দুল আওয়াল হোসেন বলেন,প্রাথমিকভাবে ফিতা ধরতে ভুল ছিল,পরে চ্যালেঞ্জ করে পূণঃরায় মাপ দিলে সঠিক পাওয়া যায়।।
(চলবে…………..)