আমিরুল ইসলাম কবিরঃ
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী সরকারি কলেজ এর হেড অব ডিপার্টমেন্ট প্রভাষক ইংরেজি অনুরাভ মজুমদার এর বিরুদ্ধে কলেজের বিজ্ঞান শাখার দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠায় সাধারন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার ৬ এপ্রিল পলাশবাড়ী সরকারি কলেজ চত্বরের বিক্ষুদ্ধ সাধারণ শিক্ষার্থী,কলেজের অধ্যক্ষ ও উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মী সূত্রে এ অভিযোগের তথ্য জানা যায়।বিগত কয়েক দিন আগে হতে উক্ত শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীদের নানা ভাবে যৌন হয়রানী করেছেন উক্ত শিক্ষক অনুরাভ মজুমদার। যৌন হয়রানীর শিকার শিক্ষার্থীর সহ পাঠিদের মাধ্যমে উক্ত যৌন হয়রানীর বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীগণ ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে কলেজ ক্যাম্পাসে একত্রিত হতে থাকে এবং তারা লম্পট শিক্ষকের শাস্তির দাবীতে তাৎক্ষণিক মানববন্ধনের সিদ্ধান্ত নেয় এবং উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বাধার মুখে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ থেকে পিছু হঠে কলেজ প্রাঙ্গন ত্যাগ করে৷
এসময় পলাশবাড়ী থানা পুলিশের একটি টিম কলেজ চত্বরে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
এ বিষয়ে যৌন হয়রানির শিকার শিক্ষার্থীকে সহপাটিদের কাছে ও কোন গণমাধ্যমকর্মীর সামনে আসতে দেওয়া হয়নি। মান সম্মানের ভয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবার কোথাও কোন অভিযোগ করতে রাজি নয়।
অভিযুক্ত শিক্ষক অনুরাভ মজুমদারের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে না পাওয়ায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এছাড়াও হোয়ার্টস অ্যাপে কল দিলে তিনি কল ধরে পরে কথা বলবেন বলে কল কেটে দেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পলাশবাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান জানান,এবিষয়ে এখনো কেউ কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি। যে শিক্ষার্থী বিষয়ে বলা হচ্ছে সে বিজ্ঞান শাখার দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। আমরা শিক্ষার্থী ও পরিবারের সাথে কথা বলেছি। উক্ত ঘটনায় কলেজের পক্ষ হতে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে এবং তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য,শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানীর ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবারকে মানসম্মানের দোহাই দিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক’কে রক্ষায় উঠে পড়ে লেগেছে একটি চক্র। উক্ত ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান সাধারণ শিক্ষার্থী,অভিভাবক ও সচেতন অভিজ্ঞ মহল।√#