পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি =তৃতীয় ধাপে চট্টগ্রামে পটিয়া উপজেলার নির্বাচন আগামী ২৯ মে। এ উপজেলায় ক্ষমতাসীন আ”লীগ নেতাকর্মী ও কর্মীসমর্থকরা দু”ভাগে ভাগ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একজন অন্য জনকে দোষারোপ ও নানান বক্তব্য দিয়ে দু”গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ভোটের মাঠে মুখোমুখি। দুই প্রার্থীকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সংসদ সদস্য সহ উপজেলা পর্যায়ে নেতারাও বিভক্ত। সরেজমিনে ভোটারদের আলাপ কালে জানা গেছে,গত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতারা এককাট্টা হয়ে হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর বিপক্ষে থেকে মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীকে সংসদ সদস্য করার ক্ষেত্রে সবাই ঐক্যবদ্ধ লীগ ভূমিকা পালন করেছেন। কিন্তু উপজেলায় তার ভূমিকা পুরোয় উল্টো।
হেভিওয়েট প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা হলেন, পটিয়া উপজেলার আ”লীগ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র হাজী মুহাম্মদ হারুনুর রশিদ ও নগর যুবলীগ যুগ্মসম্পাদক মো দিদারুল আলম ও ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ ৮ ও নারী ৬ সহ ১৬ জন হেভিওয়েট প্রার্থীরা ভোট যুদ্ধ লড়াইয়ে মাঠে বিভক্ত হয়ে দু”চেয়ারম্যান ভোটের মাটে মুখোমুখি এবং আ”লীগ অঙ্গসংগঠন নেতাকর্মীও কর্মীসমর্থকরা দু”ভাগে ভাগ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী ও নেতা-কর্মীরা বাকবিতন্ডায় হাতাহাতি মারামারি মত ঘটনা প্রায় ঘটে চলেছে। উভয় পক্ষই হান্ডাহাডি লড়াইয়ে ভোট যুদ্ধে রক্তক্ষয় সংঘর্ষের আশংকায় ভোটারা। এতে ভোটাররা বিপাকে।পাড়া-মহল্লা,ওলি-গলি ও গ্রাম-গন্জ্ঞ, মাট-ঘাটে চষে বেড়াচ্ছেন তারা। পোষ্টার, ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে সাড়া পটিয়া শহর গণসংযোগ ,উটান বৈটক, সামাজিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতি সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদানে দিন-রাত ভোটের মাঠে ভোট আদায়ে কৌশল অবলম্বন সহ ভোটারদের মন জয় করা লক্ষ্যে নানান প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত করার লক্ষ্যে সচেতনতা স্হষ্টি করছে। কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা বদিউল আলম বলেন, আমি চাঁদাবাজদের পক্ষ নয়। তাই সংসদ সদস্যকে অনুরোধ করব তিনি কেউ পক্ষে না গিয়ে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করার জন্য। পটিয়া উপজেলার আ”লীগ দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে দুই প্রতীক মুখোমুখি। যে কোনো মুহূর্তে সংঘর্ষে আশংকা করছি।
আনারস প্রতীক হারুনুর রশিদ বলেন,
অবাধ সুষ্ঠু শান্তিশৃঙ্খলা পরিবেশে ভোট হলে ব্যালটের মাধ্যমে জবাব দেব। প্রধানমন্ত্রী স্হানীয় সংসদ সদস্যদে কোনো পক্ষ না নিয়ে নিরপেক্ষ থাকতে দলীয় ভাবে ঘোষণা।কিন্তু পক্ষ না নিয়ে নিরপেক্ষের আশা করছেন।
আ”লীগ নেতাকর্মী ও কর্মীসমর্থকরা আমার পক্ষে।এবং
সুষ্ঠু,অবাধ গ্রহণ যোগ্য নির্বাচন হলেই বিপুল ভোটে জয় হব। দোয়াত কলমের দিদারুল আলম বলেন,
সংসদ সদস্য ও তৃর্ণমূল নেতাকর্মী ও কর্মীসমর্থকরা আমার পক্ষে ভোটের মাঠে চষে বেড়াতেন। অন্যরাও আমার প্রতীক দোয়াত কলম পক্ষে ভোটের মাঠে নেমেছেন। শান্তিপূর্ণ ভোট হলে বিপুল ভোটে জয়ী হবো।