বীর পটিয়ার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতির লীলাভূমি। ইতিহাস সমৃদ্ধ পটিয়াকে রক্ষায় মসজিদটা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রাচীন মসজিদটা হল আমাদের ইতিহাসের অংশ ও মুসলমান ইতিহাসের ঐতিহ্যের প্রতীক। এই মসজিদটি পটিয়া উপজেলা সদর থেকে সোজা পশ্চিমে লবনের নগরী খ্যাত ইন্দ্রপোলের একটু পশ্চিম দিকে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে ই এর অবস্থান। পটিয়া পৌরসভা এলাকার এটি প্রাচীন মসজিদ অবস্থিত।
বীর পটিয়ার ইতিহাস ঐতিহ্য ও গৌরবময় ইতিহাসকে ধরে রাখতে এবং আগামী প্রজন্মকে ইতিহাস বিষয়ে সচেতন করতে এই ধরনের প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সংরক্ষণ অতীব জরুরী।
জনগুরুত্বপূর্ণ এই প্রাচীন মসজিটি ইতিহাসের স্বার্থে সংরক্ষণ করা গেলে পটিয়াবাসী,পটিয়ার ইতিহাস সমৃদ্ধ হবে আর ইতিহাস রক্ষায় মসজিদটা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে মনে করি।
সড়ক মহাসড়ক সম্প্রসারণ হোক, আরো বড় হোক এটি আমি আমরা চাই, তবে কোন ইতিহাস ঐতিহ্য বিষয়ক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ধ্বংস করে নয়।
মাননীয় মেয়র জনাব আইয়ুব বাবুল ভাইয়ের প্রতি উদ্ধাত্ত আহবান বিষয়টি ইতিহাস সম্পর্কিত।তাই একটু নজর দেয়া প্রয়োজন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপা বর্তমানে অনেক মসজিদ নির্মাণ করেছেন। এমনকি বলতে পারেন এর পাশে আরো বৃহৎ আকারের মসজিদ হচ্ছে,কোটি টাকা ব্যয়ে।
তবুও ইতিহাসের প্রয়োজনে এই মসজিদটি সংরক্ষণের দাবী বীর পটিয়ার সাধারণ মানুষের।
এই ইতিহাস সমৃদ্ধ মসজিদটা রক্ষা হবে। তবে পটিয়ার সম্মানিত মেয়র ও কৃতিসন্তানগনকে এগিয়ে আসতে হবে। তাঁরা এগিয়ে না আসিলে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
আর বীর পটিয়ার ইতিহাস ভুলুন্টিত হবে।
অনতিবিলম্বে পটিয়া পৌরসভার মেয়র জনাব আইয়ুব বাবুল ভাইয়ের প্রতি উদাক্তা আহবান জানাচ্ছি ইতিহাস অংশ বীর পটিয়ার মসজিদটা রক্ষায় এগিয়ে আসার জন্য। কারণ ইতিহাসময় মসজিদটা রক্ষা করা পৌরসভা দায়িত্ব আপনার উপর পড়ে। আপনি একজন সাবেক ছাত্রনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তি হিসেবে দায়িত্ব পালন করুন।আমরা আশা রাখব আপনি দায়িত্ব নিলে ইনশাআল্লাহ সফল হবে।
এই মসজিদটি ভেংগে ফেলা হলেও এই ছবি একদিন কথা বলবে এবং যাঁরা ইতিহাস পণ্ডিত তাঁদেরকে জবাব দিহিতার কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেই এটাই চিরাচরিত নিয়ম।
তসলিম উদ্দীন রানা
রাজনীতিবিদ ও কলামিস্ট