বাংলাদেশি কর্মাশিয়াল সংগীত পটিয়ার মাটির কাছে আজন্ম ঋণী থাকবে:-সেলিম নিজামী।
চট্টগ্রামের পটিয়া থানার মাটিতে জন্ম নিয়েছেন,
বাংলাদেশি সঙ্গীতের বেশ কিছু গুনী শিল্পী, আজ লিখছি পটিয়া থানার অন্তর্ভুক্ত মেহের আটি গ্রামের আধ্যাত্বিক সঙ্গীত পরিবার এবং একজন #সেলিম_নিজামী ভাইয়ের সম্পর্কে 🎙️যার জন্ম ৭ জুন ১৯৭১ ক্ষনজন্মা এই শিল্পী খুব অল্প সময়ে হয়ে উঠেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা শিল্পীদের একজন,বাবার হাতেই প্রথমেই সংগীতের তা’লিম নেন মরহুম সেলিম নিজামী,এবং খুব অল্প সময়েই লাভ করেন তুমুল জনপ্রিয়তা,বাহার সিগন্যাল আল আমীন বারীয়া মাদ্রাসায় শিক্ষাকালীন সময়ে হজরত শাহসুফি আবদুল বারী রঃ এর সোহবতে থেকে দেশের প্রত্যান্ত জেলায় পবিত্র না’তে রাসুল দঃ পরিবেশনের মাধ্যমে ভীষণ পরিচিতি লাভ করেন এবং এর পরপরই কাওয়ালী গানের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন,পরবর্তীতে
গাউসুল আযম শাহসূফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (ক.)র দয়ায় ধন্য পাশাপাশি
বিশ্বঅলি শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) বাবার প্রিয় পাত্র শিল্পী #সেলিম_নিজামী ভাই ছিলেন বাংলা সঙ্গীতের আকাশে একজন ধ্রুব তাঁরা।
উনার পরিবার থেকে গানের তালিম নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে অনেক স্টার তৈরি হলেও সেলিম নিজামী ভাই তথা উনার বাবা বিখ্যাত কাওয়াল সম্রাট প্রখ্যাত গীতিকার-সুরকার, আধুনিক, মরমী, লোকগীতি সহ অসংখ্য ইসলামী সংগীত রচয়িতা হাজারো সংগীত শিল্পীর ওস্তাদ মরহুম এম এ রশীদ কাওয়াল।
শুধুমাত্র সঙ্গীতের আজন্ম সাধনায় এই পরিবারটি নিমগ্ন আছেন।
খুবই অল্প বয়সে সেলিম নিজামী ভাই লক্ষকোটি ভক্তদের হৃদয়ে আঘাত দিয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চিরতরে বিদায় নিয়ে চলে যান না ফেরার দেশে,
বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে তথা সারাবিশ্বে উনার অসংখ্য ভক্ত আছেন।
সাধারণত শিল্পীদের গানশুনে মানুষ আনন্দ বেদনা লাভ করেন কিন্তু সেলিম নিজামী ভাইয়ের গান যারা শোনেন তাঁরা বেশিরভাগজনই গান শুনে কান্না করেন।
এ এক অদ্ভুত বিষয়!
সেলিম নিজামী ভাইয়ের মরমী গান, বিচ্ছেদ গান যে একবার শুনেছেন সে সারা জীবনের জন্য এই গানের অন্ধ ভক্ত হয়ে রয়ে গেছেন।
আধ্যাত্বিক এক মহাশক্তিতে শক্তিমান সেলিম নিজামী সঙ্গীত জগতের এক মহা #বিস্ময়।
উনার স্মৃতি সংরক্ষণের জোর আবেদন রইলো, ভক্তকূল এবং সরকারের প্রতি।
সেলিম নিজামীর গানের ভক্তরা এতটাই সেলিম ভক্ত যে, তাঁরা অন্য কোন প্রকার গান শুনে অতটা তৃপ্ত হননা।
আমি নীরবে এই বিষয়টি নিয়ে ক্ষুদ্র গবেষণা করে যা পেলাম,
#সেলিম ভাই প্রচন্ড আবেগ দিয়ে গান করেন।
#উনার গানের কথাগুলো একদমই সহজ সরল।
#গানের মাঝে বিরহের পরিপূর্ণ একটি গল্প থাকে যা সার্বজনীন।
#মারাত্নক টিউনে গানগুলো পরিবেশন করেছেন উনি।
#আরেকটি বিষয় হলো গানের মাঝে অল্প ইনস্ট্রুমেন্ট এর ব্যবহার,এতে গানের বাণীর উৎকর্ষ ঠিক থেকেছে।
#সবচেয়ে বড় কথা হলো গানকে প্রাণ থেকে বের করতেন সেলিম ভাই।
সত্যি বলতে ওনার গান আমার কানে আসতেই লোমকূপগুলো দাঁড়িয়ে যায়।
এমন মহা সাধক শিল্পীর চরণে আমাদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি আল্লাহ পাক এই মহান শিল্পীকে জান্নাতুল ফেরদৌসের আলা মাকাম নসীব করুন আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।,,