পটিয়া প্রতিনিধি:- চট্টগ্রামের পটিয়ায় স্ত্রী নাছরিন সুলতানার যৌতুক, গর্ভপাত নষ্ট, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় স্বামী দিদারুল আলম সুমনকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে । পটিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার আকরাম হোসেন এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ মামলা নং ৯/১৪ ইং এর পরিপ্রেক্ষিতে ডাকবাংলো এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে দিদারুল আলম সুমনকে ৯ জুন রবিবার পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। সে পটিয়া উপজেলার খরনা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড ওয়াহেদুর পাড়ার আমিনুল হকের পুএ। সুমন ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লক্ষিপুর জেলার চরলরেন্স উপ-শাখার এসিস্ট্যান্ট অফিসার পদে চাকরি করছেন। মামলার বাদীনী নাছরিন সুলতানা একই এলাকার নুরুল আবছারের কন্যা। মামলার এজাহার সুএে জানা যায়, নুরুল আবছারের কন্যা নাছরিন সুলতানা সাথে আমিনুল হকের ছেলে দিদারুল আলম দীর্ঘদিন প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে এবং বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে গত ২৭/১১/২৩ সালে ১৫ লক্ষ টাকার দেনমোহরানায়
বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এর পরে নাসরিন সুলতানা এক মাসের গর্ভবতী হয়। দিদারুল আলম সুমন গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য বিভিন্নভাবে নাছরিন কে চাপ সৃষ্টি করে গর্ভজাত সন্তান নষ্ট করেন। এর পরে চতুর দিদারুল আলম গত ০৯/০৪/২৪ ইং রাতে স্ত্রী নাছরিন সুলতানাকে তার পিতার কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা যৌতুক এনে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে চরমভাবে মারধর করেন। নাছরিন সুলতানা অপারগতা প্রকাশ করলে একইভাবে গত ২১/০৪ /২৪ ইং দিদার সহ তার পরিবার এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
এর একপর্যায়ে স্বামী সহ তাদের পরিবারের সীমাহীন নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে আসেন নাছরিন।
এ ঘটনায় দীর্ঘদিন এলাকায় মান্যগন্য ব্যাক্তিবর্গ শালিশ- বিচার করে দেন। কিন্তু তা মানেনি দিদারুল আলম সুমন সহ তার পরিবার। অনেক নাটকীয়ভাবে নাছরিন সুলতানাকে তালাক দেওয়ার চেষ্টা করে দিদার। অবশেষে দিদার সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে যৌতুক নির্যাতন মামলায় ১ নং আসামী দিদারুল আলমকে জেল হাজতে প্রেরণ করার আদেশ দেন পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত।বিষয়টি নিশ্চিত করেন পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জসিম উদ্দিন জানান।