মোঃ তাহসিনুল আলম সৌরভ
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় পারিবারিক জেরে একই পরিবারের ৭ জনকে কুপিয়ে গুরতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে তিনজন নারী এবং চারজন পুরুষ। আহতরা সবাই উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে চার জনের অবস্থা আশঙ্কা জনক বলে জানিয়েছে চিকিৎসক।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের আমতলীর নতুন বেড়ির সাগরিয়া খাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অস্ত্র-শস্ত্র সহ মহড়া দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পাশ্ববর্তী বসবাসকারী দের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা। এছাড়া পুরো এলাকাজুড়ে এক ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
ভুক্তভোগী পরিবারের আহত সোহরাব উদ্দিন জানান, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আইনশৃঙ্খলা কার্যক্রম ব্যহত হলে গত ৭ অগাষ্ট তাদের খামার থেকে প্রায় ৪০টি ছাগল লুট করে অভিযুক্ত স্বপন। ছাগলগুলো তোতাপুরি সহ বিভিন্ন উন্নত জাতের। একেকটি ছাগলের দাম প্রায় ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত।
পরবর্তীতে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে খামারটি দখল করে নেয় অভিযুক্ত স্বপনরা। লুটের পরেও খামারে দশটি ছাগল অবশিষ্ট ছিল। সেখান থেকে কয়েকটি ছাগল জবাই করে খেয়েছে তারা। কয়েকটি মেরে ফেলা হয়েছে। তাদের ভয়ে খামারের পাশে ঘেঁষতে পারেনি ভুক্তভোগী খামারী সোহরাব
এ বিষয়ে হাতিয়া নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট বরাবর অভিযোগ দেওয়ায় কয়েক দফায় তাদেরকে মারধর করা হয় এবং প্রাণনাশের হুমকি সহ বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখানো হয়। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সকালে তাদের পরিবারের ৭ জনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে বাহিনীর প্রধান সফিয়ল আলম স্বপন ডাকাত, তানজু প্রঃ ভল্টু ডাকাত, আজমির হোসেন, মোঃ শরীফ, সমীর উদ্দিন ও মোঃ তারেক সহ অন্যান্য সাঙ্গোপাঙ্গরা। তাদের বিরুদ্ধে আদালত ও বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি সহ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ ঘটনায় সোহরাবের স্ত্রী নাজমা বেগম বাদি হয়ে ৮ জনকে আসামি করে হাতিয়া থানায় একটি মামলার এজাহার দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে প্রধান অভিযুক্ত সফিয়ল আলম স্বপন তানজু, আজমির হোসেন, মোঃ শরীফ, সমীর উদ্দিন ও মোঃ তারেক সহ কাউকে মোবাইল ফোনে বক্তব্য নেওয়ার জন্য বার বার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, আহতরা থানায় আসার পর তাদেরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলা পক্রিয়াধীন, মামলা হলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।