1. info@www.dainikdeshbarta.com : bissho sangbad Online : bissho sangbad Online
  2. info@www.dainikdeshbarta.com : Dainik Desh Barta :
সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ফেরদৌস বেগম চৌধুরী’র ইন্তেকাল দেশ সেবায় প্রয়াস নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে যাচ্ছে; প্রয়াসের ১৬তম বর্ষপূর্তি ও অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে আজাদী সম্পাদক চন্দনাইশে ফুলেল শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা.শাহাদাত হোসেন পটিয়ায় জিরি আল কুরআন একাডেমির ৫ম শ্রেনীর বিদায় সংবর্ধনা ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্টিত সাতকানিয়ায় স্থানীয়  চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের কর্তৃক আমিরাত প্রবাসীর বৃদ্ধ বাবাকে হত্যা চেষ্টা ৪ ফার্মেসিকে বোয়ালখালীতে ৮৩ হাজার টাকা জরিমানা বিকাশের দোকানের লাখ টাকা চুরির ঘটনায় বোয়ালখালীতে একজন গ্রেপ্তার আলহাজ্ব মাওলানা সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী’র ইন্তেকাল বোয়ালখালী ডিজিটাল একাডেমিতে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান বোয়ালখালীতে পরিমাণের চেয়ে ওজনে কম লাইসেন্স না থাকায় দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

নাব্যতা সংকটে কর্ণফুলী নদীতে ফেরী চলাচলে চরম দুর্ভোগে চালক ও যাত্রীরা

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ২২২ বার পড়া হয়েছে

কাপ্তাই প্রতিনিধি ॥ নাব্যতা সংকট ও জোয়ার ভাটার কারণে প্রায় সময় বন্ধ রাখতে হচ্ছে কাপ্তাই উপজেলাধীন কর্ণফুলী নদীর চন্দ্রঘোনা ফেরি চলাচল। এতে দীর্ঘ সময়ের জন্য খাগড়াছড়ি এবং রাঙ্গামাটির সাথে বান্দরবানের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়। ফলে বিভিন্ন স্থান থেকে সড়ক পথে ফেরিযোগে পার হতে আসা শত শত যানবাহন চালক এবং যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। নাব্যতা সংকটে প্রায়ই এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হচ্ছে এই সড়কে চলাচলকারীদের। এতে করে সময় যেমন অপচয় হচ্ছে তেমনী চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ার) সকাল প্রায় ৯টায় চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারী) রাত প্রায় ১০টার পর থেকে বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল। বন্ধের কারণ জানতে চাইলে ফেরীর দায়িত্বরত কর্মচারী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, কর্নফুলী নদীতে ভাটার সময় পানি এতটায় কমে যায় যে, নাব্য সংকটে নদীর বুকে জেগে ওঠে বালুর চর। তখন ফেরী চলাচল বাধাগ্রস্থ হয়। ফেরীর মোটরের পাখা বালুরচরে আটকা পড়ে। তাই বন্ধ রাখতে হয় ফেরী পারাপার। তবে যখন নদীতে জোয়ারে পানির পরিমাণ বাড়ে তখন ফেরী চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে, দীর্ঘক্ষন ফেরী চলাচল বন্ধ থাকার কারণে নদীর দুই প্রান্তে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এতে যাত্রী ও চালকরা চরম দুর্ভোগে পড়ে। এমন দুর্ভোগের চিত্র প্রায় সময় দেখা যায় বলে জানান স্থানীয়রা।
কর্ণফুলী নদী পারাপারের অপেক্ষায় থাকা বাস চালক আবুল মিয়া, আব্দুল কুদ্দুসসহ একাধিক চালক জানান, ফেরী পারাপারে আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দুরদুরান্ত থেকে আমরা গাড়ি চালিয়ে এসে এই জায়গায় থমকে যেতে হয়। কখন ফেরি চলাচল শুরু হবে তা নিয়ে সবার মাঝে দেখা দেয় চিন্তা। ফলে সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়না।
চট্টগ্রাম থেকে আসা বান্দরবানগামী একাধিক যাত্রী জানান, একমাত্র এই ফেরির দুর্ভোগের কারণে আমরা অনেক সময় বান্দরবান যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। ফেরি চলাচল বন্ধ, তাই কখন চালু হবে এই অপেক্ষায় না থেকে আমাদের বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে হয়। এতে আমাদের ভাড়াও বেশি গুনতে হয়, আবার সময়ও লাগে প্রচুর। এই দুর্ভোগ থেকে কবে মুক্তি মিলবে জানিনা।
চন্দ্রঘোনা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ ইসমাইল, সুমন পাটোয়ারি সহ একাধিক ব্যক্তি জানান, চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে একটি সেতু নির্মাণের জন্য আমরা দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসছি। এছাড়া অনেক সময় খবরও আসে এখানে নাকি সেতুর অনুমোদন হয়েছে। কিন্তু এখনো আমরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছিনা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙ্গামাটি জেলা সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা জানান, কর্ণফুলী নদীতে নাব্য সংকটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। এ সময় কিছুটা দুর্ভোগে পড়তে হয় যাত্রী ও চালকদের। তবে কর্ণফুলী নদীতে ড্রেজিংয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। ড্রেজিং করা হলে নাব্যতা সংকট দুর হবে। এছাড়া অতি জরুরী কাজে তিনি যাত্রী এবং চালকদের ফেরি চলাচল বন্ধকালীন সময়ে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট