বরিশাল ব্যুরো।
পটুয়াখালীর দুমকিতে প্রশাসনের উচ্ছেদকৃত সরকারি খাস জমি ফের দখল করে প্রকাশ্যে দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ ওঠেছে প্রভাবশালী আ’লীগ নেতা কেএম সহিদুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। শ্রীরামপুর মৌজার ২নং খাস খতিয়ানের ১৯৬৫ নং প্লটে আগে থেকেই দখলে থাকা অন্তত: ৪/৫টি টিনের ভাড়াটে দোকানের পেছনে ফাঁকা অংশটুকুও এবার দখল করতে কাঠ, বাঁশের খুটি ও টিনের ছাউনী-বেড়া নির্মাণ করছেন। খবর পেয়ে স্থানীয় ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মোশারফ ও নাজির মনিরুজ্জামান সরেজমিন ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে নিষেধাজ্ঞা দিলেও তা আমলে নেয়া হয়নি। ইতোমধ্যে অবৈধ দখলদারিত্বের ঘর নির্মাণের কাজ প্রায় সম্পন্নের পথে। প্রকাশ্য দিনের বেলায় উপজেলা শহরে এমন দখলদারিত্বে হতবাক সবাই। প্রভাবশালীদের কারণে প্রশাসন যেখানে দেখেও না দেখার ভান করছে, সেখানে কেউ এমন দখলদারিত্বের প্রতিবাদের সাহস পাচ্ছে না।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে, দুমকি উপজেলা শহরের পীরতলা খালের সরকারি রেকর্ডিও ২নং খাস খতিয়ানের ১৯৬৫নম্বর দাগের অন্তত: ১০শতাংশ জমি দখল করে কাঠ-টিনের ষ্টল নির্মাণ করে অন্তত: ৬টি দোকান বসিয়ে বিগত ২০বছর যাবত ভাড়া নেন উপজেলা আলীগের সদস্য ও শ্রীরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কেএম সহিদুল ইসলাম খলিল। পূর্বে দখলকৃত ওই স্টলের পার্শ্ববর্তি ফাঁকা খাস জমিটুকু দখলে রাখতেই ফের দোকানঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ২০১৭ সালে অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়ে ওই ফাঁকা যায়গাটি দখলমুক্ত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তৎকালীন ইউএনও ও দায়িত্বরত এসিল্যান্ড অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত খাস খতিয়ানের প্লটটির অবৈধ দোকান ভেঙ্গে দেন। গত শনিবার থেকে আ’লীগ নেতা কেএম সহিদুল ইসলাম ও তার দুই সহদর সার্বক্ষণিক তদারকিতে বেশ কয়েকজন কাঠ-মিস্ত্রী ও শ্রমিক দিয়ে দ্রুতার সাথে দোকান নির্মাণ করছেন। সন্মানহানী ও সমুহ ঝামেলার আশংকায় স্থানীয়রা কেউ ’টু’ শব্দটিও করছেন না। ফলে নির্বিঘেœ গত২/৩দিনেই তাদের দোকান ঘর নির্মাণ কাজ প্রায় সম্পন্ন করে দখলে নিয়েছেন। অবৈধ দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে কেএম সহিদুল ইসলামের সহদর মো: নাসির উদ্দিন খান বলেন, তাদের পৈত্রিক রেকর্ডি সম্পত্তিতে এখন খাল রয়েছে। তাই তারা খালের ভরাটকৃত সমপরিমান জমিতে দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছেন। এখানে অবৈধ দখলের অভিযোগ সঠিক নয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনামিকা নজরুল বলেন, আমি ছুটিতে দুমকির বাইরে আছি। মোবাইল ফোনে অভিযোগ পেয়ে ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার পাঠিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমি এসে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।