পক্ষে থাকলে আলাল, বিপক্ষে গেলে দালাল।
তৃণমূলে বিভাজনের দায় নিতে হবে কেন্দ্রকে…নৌকা ও ডেমী + স্বতন্ত্র প্রার্থী ?ঘর ঘরে গৃহ যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে…
এই যুদ্ধ থামাতে হবে,এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য বড়ো কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন হতে হবে তৃণমূল কর্মীদেরকে। সারাদেশে যাঁরা নির্বাচন করছেন বা করবেন সবাই সিনিয়র সিটিজেন, সিনিয়ররা এটা চা বা কপির দাওয়াত এর মধ্য দিয়েই মিলিয়ে যায় এর প্রমাণ অতীত হয়েছে এবং হবে। আর তৃণমূল এর কর্মীদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হলেই লেগে থাকে বা উপর মহল থেকে বিভাজন লাগিয়ে রাখেন যুগের পর যুগ ধরে। তৃণমূল রাজনৈতিক নেতা কর্মীরাই আজ কেউ কাহারো চোখে ঈমানদার, আবার অন্য কাহারো চোখে বেঈমান এর খাতায় নাম লিখাচ্ছেন। কেন? এঁরা তো হালুয়া রুটির ভাগে ছিলো না! ঐক্য বদ্ধ তৃনমূল নেতা কর্মীরা আজ বড় অসহায় এঁরা না পাচ্ছে অর্থনৈতিক মুক্তি কিংবা সচ্ছলতা, না পারছেন রাজনৈতিক শক্তি, না পারছে দল করতে, না পারছে দল ছাড়তে।
এঁরা আজ বড় কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন এঁরা তো অবৈতনিক কামলা বিগত পনের বছর কেউ কাহারো খবর রাখেন নাই, সারা দেশে সবাই সব কিছুতে আত্মীয় স্বজন,বন্ধু বান্ধব,তাদের অনুগত সমর্থক, রাজনৈতিক কর্মচারী, মাই ম্যানদের কে নিয়ে ব্যাস্হ হয়ে গিয়েছেন। তৃণমূল আওয়ামী লীগে হ য ব র ল হয়ে যাচ্ছে,সংগঠন আজ ক্ষত বিক্ষত হয়ে যাচ্ছে। ভাইয়ে ভাইয়ে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে, পরিবারে অশান্তি হলে পাশের বাড়ির ঘুমন্ত প্রতিবেশীর ঘুম ভেঙ্গে যায়,তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নিবেন এটাই স্বাভাবিক, এটাই বাস্তবতা,কেন্দ্র থেকে মানুষের আবেগের সাথে সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে,কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের একেক সময় একেক রকম বক্তব্য প্রদান বন্ধ করা উচিৎ বলে মনে করি।
লাগাম টেনে ধরা কেউ নেই?এম এ রহিম, সদস্য তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ কমিটি,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।