প্রতারণা ও অর্থপাচার মামলায় তুরস্কের শীর্ষ এক ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসায়ীকে ১১ হাজার ১৯৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২৯ বছর বয়সী ফারুক ফাতিহ ওজার নামে ওই ব্যবসায়ী তুরস্কে ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রতিষ্ঠাতা। গ্রাহকের দুই বিলিয়ন ডলার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে। অর্থপাচার, জালিয়াতি ও অপরাধমূলক কাজে সহায়তার জন্য ফারুকের সঙ্গে তার ভাই গিউভেন ও বোন সেরাপকেও সাজা দেওয়া হয়েছে। ফারুক ২০২১ সালের এপ্রিলে তুরস্ক থেকে আলবেনিয়া পালিয়ে যাওয়ার সময় ক্রিপ্টো কারেন্সি ব্যবহারকারীদের সম্পদের ২৫০ মিলিয়ন লিরা (প্রায় ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) নিজের তিনটি গোপন অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করেছিলেন। আদালতের অভিযোগে বলা হয়েছে, ওজার ও তার ভাই-বোন মিলে ক্লায়েন্টদের ৩৫৬ মিলিয়ন লিরা সরিয়ে ফেলেছেন।
জালিয়াতির দায়ে বিপক্ষের কৌঁসুলি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হিসেবে ৪০ হাজার ৫৬২ বছরের সাজার আবেদন করেছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত বিচারক তাকে ১১ হাজার ১৯৬ বছরের কারাদণ্ডের সাজার রায় শোনান।
ফারুক শুনানিতে বলেন, ‘যদি আমি একটি অপরাধমূলক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করতাম, তাহলে আমি এতটা অপেশাদার আচরণ করতাম না।’ সাধারণত একজন ৭০-৮০ বছরের মানুষের জীবনে ১১ হাজার বছর ধরে জেল খাটা সম্ভব না। মূলত তার অপরাধের মাত্রা বোঝাতে তাকে ১১ হাজার ১৯৬ বছরের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে যা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিণত হবে।