এন.এ সাগর,কক্সবাজারঃ
কলেজছাত্র মুরাদ হ’ত্যা মা’ম’লার ৪ নম্বর আ’সা’মি রহিম উল্লাহকে কা’রা’গারে পাঠিয়েছেন আদালত। রহিম উল্লাহ (২৮) এই মা’ম’লার প্রধান আ’সা’মি রফিক উল্লাহর বড় ভাই।
সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে তিনি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক জেলা জজ মুনসী আব্দুল মজিদ তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশরাফুল আলম চৌধুরী সুমন।
তিনি বলেন, ‘রহিম উল্লাহ আট সপ্তাহের জন্য উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মতে কক্সবাজার জেলা দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের জন্য আবেদন করেন। এই সময় মা’ম’লার দুই পক্ষের শুনানি শুনেন আদালত। একপর্যায়ে হত্যা মামলার এজাহারে অভিযুক্ত থাকায় বিজ্ঞ বিচারক শুনানি শেষে রহিম উল্লাহর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
এর আগে গত ৬ মে বিকেলে উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মনখালী গ্রামের অলি উল্লাহর ছেলে রফিক উল্লাহ, সৈয়দ আহমদ ওরফে জকির আহমদের ছেলে মো. আদিলসহ কয়েকজন শামলাপুর বাজারে গিয়ে মুরাদ ও তার বড় ভাই আল আসাদ মামুনের উপর হা’মলা করে। ছু’রি’কাহত মুরাদ ও মামুনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুরাদকে মৃ’ত ঘোষণা করেন। এঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করেন মুরাদের বাবা মো. সাইফুল্লাহ।
মামলায় রহিম উল্লাহসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ ও অ’জ্ঞা’ত পরিচয় আরও তিন থেকে চারজনকে আ’সা’মি করা হয়। তবে মামলার ১ মাস পার হয়ে গেলেও কাউকে গ্রে’প্তার করতে পারেনি পুলিশ। মামলার ৪ নম্বর আসামি রহিম উল্লাহ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে তাকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়ে নিম্ন আদালতে আ’ত্ম’স’মর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৫ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রহিম উল্লাহ কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আ’ত্ম’সমর্পণ করে জা’মিনের আবেদন করেন। পরে বিচারক তাকে কা’রা’গারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নিহত মুরাদের বাবা মো. সাইফুল্লাহ বলেন, ‘আমার আদরের সন্তানকে প্র’কা’শ্যে গ’লা কে’টে হ’ত্যা করেছে খু’নিরা। বড় ছেলেকেও গু’রুতর জ’খম করেছে। মা’ম’লার একমাসেও পুলিশ কাউকে গ্রে’প্তার করতে পারেনি। ছেলেকে তো আর ফিরে পাবো না; কিন্তু আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। যাতে কোনো অপরাধী অ’প’রাধ করে পার না পায়।’
মা’ম’লার তদন্ত কর্মকর্তা মো. দস্তগীর হোসেন বলেন, এই মামলার ৪ নম্বর আসামি ৮ সপ্তাহের জন্য উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিনে ছিলেন। অন্য আসামিদের ধরতে কাজ করছে পুলিশ। খুব শিগগিরই জড়িতদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি মা’ম’লার তদন্ত কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা চলছে।