জান্নাত মুমিনের সর্বোচ্চ চাওয়া। শেষ আশ্রয় স্থল। এ কারণে কুরআন-সুন্নাহর বর্ণনায় জান্নাতের অগণিত নেয়ামতের কথা বলা হয়েছে। এ জান্নাত পাওয়ার জন্য প্রয়োজন সঠিক পথে চলা। বিশেষ করে ৬টি গুণ নিজের মধ্যে বাস্তবায়ন করা জরুরি। জান্নাত লাভের সেই কাঙ্ক্ষিত ৬ উপদেশ কী?
হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, ‘যার মধ্যে ৬ টি গুণ থাকবে, সে এমন কোনো রাস্তায় পা দেবে না; যা তাকে জান্নাত থেকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে। জান্নাত পাওয়ার সেই ৬টি গুণ বা কাজ হলো-
১.আল্লাহ তাআলাকে চেনা এবং তার আদেশগুলো মেনে চলা।
২.শয়তান সম্পর্কে জানা এবং শয়তানকে অমান্য করা। অর্থাৎ শয়তানের পথে ও মেতে জীবন পরিচালনা করা থেকে নিজেকে বিরত রাখা।
৩. সত্য জানা এবং সত্যতার অনুসরণ করে জীবন পরিচালনা করা।
৪. মিথ্যা সম্পর্কে জানা এবং মিথ্যার আক্রমণ ও প্রতারণা থেকে দূরে থাকা।
৫. দুনিয়ার জীবন সম্পর্কে জানা এবং দুনিয়ার ক্ষতিকর লোভ-লালসা ও জীবনাচার এড়িয়ে চলা।
৬.পরকাল সম্পর্কে জানা এবং পরকালের সফলতা লাভে কামিয়াবির পথ অনুসন্ধান করা। (ইহইয়াউ উলুমিদ্দিন)
মনে রাখা জরুরি: মায়াবি এ দুনিয়ায় জীবন পরিচালনা ও বিচরণ করা সহজ; কিন্তু দুনিয়ার মায়াজাল থেকে বেরিয়ে সঠিক পথের ওপর জীবন পরিচালনা করা খুবিই কঠিন। যারা হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু ঘোষিত ৬টি গুণ নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারবে। তারাই দুনিয়া ও পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে হবে সফল।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, ভালো কাজের দিকে অন্তর আকৃষ্ট করতে সচেষ্ট থাকা। বেশি বেশি এ দোয়া করাও জরুরি-
يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَ
উচ্চারণ: ‘ইয়া মুকাল্লিবাল কুলুবি ছাব্বিত কালবি আলা দিনিকা।’
অর্থ: ‘হে মনের পরিবর্তনকারী!আমার মনকে তোমার দ্বীনের ওপর স্থির রাখো।’ (তিরমজি)
এতে আল্লাহ তাআলা বান্দার অন্তরকে পরিবর্তন করে দিতে পারেন। সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারেন। কেননা তিনি সর্বোত্তম অন্তর পরিবর্তনকারী।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়ার সব মায়াজাল থেকে বেঁচে থেকে পরকালের প্রস্তুতি ও জান্নাত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
লেখক: বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী ছাহেব।