নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৬বছর পূর্তি উপলক্ষে রাঙ্গামাটিতে বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের উদ্যোগে এ আনন্দ র্যালী, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। শান্তি চুক্তির ২৬বছর পূর্তিতে রাঙ্গামাটি আদালত বভবণ প্রাঙ্গণ হতে একটি আনন্দ র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি শহরের বনরুপা, কাঠালতলী হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাঙ্গামাটি পৌরসভা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি স্থানীয় সাংসদ ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার।
এছাড়াও রাঙ্গামাটি মহিলা সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙ্গামাটি সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত রিজিয়িন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল এরশাদ হোসেন চৌধুরী (পিএসসি), রাঙ্গামাটি সদর দপ্তরের সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ আনোয়ার লতিফ খান (পিএসসি), রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ও মোহাঃ আশরাফুল ইসলাম (যুগ্ন-সচিব), রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য রেমলিয়ানা পাঙ্খোয়া, সদস্য বিপুল ত্রিপুরা, সদস্য অংসু ছাইন চৌধুরী, রাঙ্গামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরীসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় দীপংকর তালুকদার এমপি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে ৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ের দীর্ঘ দুই দশকের রক্তক্ষয়ী সংঘাত বন্ধ হয়েছে এবং চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ৬৫টি ধারা বাস্তবায়িত হয়েছে বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করতে সরকার আন্তরিক। তবে পূর্ণাঙ্গ চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য শান্তিপূর্ণ সহবস্থান তৈরী করতে হবে, দূরত্ব কমাতে হবে, সহবস্থানের ঘাটতি দূর করতে হবে, আন্তরিক হতে হবে, তবেই চুক্তি বাস্তবায়ন হবে। তিনি আরো বলেন, শান্তি চুক্তির পর থেকে পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি সৃষ্টিসহ শান্তির সুবাতাস ফিরে আসে। পাহাড়র শান্তির এই ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার আহবান জানানে হয়।
আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।