1. info@www.dainikdeshbarta.com : bissho sangbad Online : bissho sangbad Online
  2. info@www.dainikdeshbarta.com : Dainik Desh Barta :
শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ০২:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চন্দনাইশে দক্ষিণ জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ড মাঠে তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে চন্দনাইশে প্রস্তুতি সভা নোয়াখালীর জেলা কারাগারের ১৮ ফুট দেয়াল টপকে আসামির পালানোর চেষ্টা বোয়ালখালীতে ভেজাল আইসক্রিম ও মিষ্টির কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চন্দনাইশের প্রখ্যাত চিকিৎসক ডা. নুরুল আমিনের দাফন সম্পন্ন সোনাইমুড়ীতে ধানের ফলনে খুশি কৃষক, ঘরেও তুলছেন নিশ্চিন্তে চন্দনাইশে প্রত্যাশী- সিমস প্রজেক্ট মাইগ্রেশন ফোরাম সদস্যদের “দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ বোয়ালখালীতে ভোর ৬টায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেও আল্ট্রা করতে পারলেন না আয়েশা মাওলানা রইস উদ্দিন হত্যা : বিচার দাবিতে বোয়ালখালীতে সড়ক অবরোধ নোয়াখালীতে শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে জিসপ’র আলোচনা সভা

চিকিৎসক-নার্সের অবহেলায় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৫০৪ বার পড়া হয়েছে

সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সের অবহেলায় ওসমান গনি সায়েম নামের দুই বছরের এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ৩১ আগস্ট ২০২৩, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়। সায়েম সন্দ্বীপ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ভোম পোটোয়ারির বাড়ির মো. রাসেলের ছেলে।

সায়েমের মা রাজিয়া সুলতানা অভিযোগ করে বলেন, ‘সামান্য কাশি ও বুকে কফের সমস্যার কারণে ছেলেকে বুধবার রাত ২টার সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি নেবুলাইজ করতে। ডাক্তার, নার্স সবাই তখন ঘুমে ছিলেন। ঝাড়ুদার আনোয়ারের মাধ্যমে অনেক ডেকে ডাক্তারকে ঘুম থেকে তোলা হয়। কয়েকটি ওষুধ লিখে দিয়ে ডাক্তার আবার ঘুমিয়ে যায়। নার্সকে ঘুম থেকে ডেকে তোলার পর নার্স তাড়াহুড়ো করে বাচ্চাকে অক্সিজেন লাগিয়ে আবার ঘুমিয়ে যায়। একসময় বাচ্চার অক্সিজেন খুলে গেলে নার্সকে বলা হয়। নার্স বলে,আমি কী করবো? আমার দায়িত্ব শেষ।’

তিনি বলেন, ‘অক্সিজেন লাগানোর পরও বাচ্চার অবস্থা ভালো না হওয়ায় ডাক্তার ও নার্সকে অনেক ডাকার পরও তারা আসেনি। ঝাড়ুদার আনোয়ার অক্সিজেন বন্ধ করে বাচ্চাকে নেবুলাইজার দিয়েছে। সকাল ৫টার দিকে আনোয়ার দ্বিতীয়বার বাচ্চাকে নেবুলাইজার দেওয়ার পর বাচ্চা আমার কোলে সোজা হয়ে যায়। আমার ও আমার মায়ের চিকিৎকার শুনে দাঁতের ডাক্তার আসেন। তিনি কিছু বুঝতে না পেরে বারবার অন্য ডাক্তারদের ফোন দিচ্ছিলেন। অন্য ডাক্তাররা এসেছে দুই ঘণ্টা পর। ততক্ষণে আমার বাচ্চা আর নেই।’

দায়িত্বে অবহেলার বিষয়ে জানতে কর্তব্যরত ডেন্টাল সার্জন ডা. জাহিদুল মাওলা এবং দুজন নার্স রাজিয়া সুলতানা ও শাহনাজ পারভীনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে পাওয়া যায়নি। একাধিকবার ফোন করলেও তারা ফোন কল রিসিভ করেননি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. কারিমুল মাওলা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা বসেছি। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে এস্পিরেশন নিউমোনিয়াতে বাচ্চাটা মারা গেছে। হঠাৎ শুইয়ে খাওয়ানোর ফলে খাবার খাদ্য নালিতে না গিয়ে শ্বাস নালিতে চলে গেলে রোগী তাৎক্ষণিক মারা যায়। তবে, এ ধরনের ঘটনা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খুবই রেয়ার। এটাকে একটা এক্সিডেন্ট বলতে হবে। ডাক্তার ও নার্সের অবহেলার বিষয়টিও আমরা তদন্ত করছি।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মানস বিশ্বাস বলেন, ‘এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কারো কোনো অবহেলা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, ‘মেডিকেল টার্মগুলো আপনারা কী বুঝবেন। ফাইল না দেখে এসব বিষয়ে কিছু বলা যায় না। না দেখে, না শুনে চট্টগ্রাম বসে সন্দ্বীপের বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে তারপর মন্তব্য করবো।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট