চন্দনাইশ প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে বিউটি আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। একইভাবে হত্যার জন্য ছুরি ধরেন মায়ের গলায়। পুলিশ, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয়রা শ্বাসরুদ্ব কর অবস্থায় প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় মাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়েছেন। আটক করেন ঘাতক যুবলীগ নেতা জমির উদ্দিন চৌধুরীকে (৪৮)।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছেন জমির উদ্দিন চৌধুরী। তিনি স্থানীয় যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত। কিছুটা মানসিক বিকারগ্রস্ত বলেও স্থানীয়ভাবে প্রচার রয়েছে। জমির উদ্দিন চৌধুরী ওই এলাকার মৃত নাছির চৌধুরীর ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক বলে জানা গেছে।
জানা যায়, সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলা যুবলীগ নেতা জমির উদ্দীন চৌধুরী তার স্ত্রী বিউটি আকতারকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। এ সময় তার মা শামসুন্নাহার (৯০) বউয়ের চিৎকার শুনে উদ্ধারের জন্য রুমে ঢুকলে জমির উদ্দীন তার মাকে গলায় ছুরি ধরে জিম্মি করে রাখেন এবং রুমের দরজা বন্ধ করে দেন।
এ খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত হয়ে ৩ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর প্রচেষ্টা চালান। অবশেষে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমরান আল হোসাইন ঝুঁকি নিয়ে রুমের দরজা ভেঙে ঢুকে মাকে জীবিত উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। পুলিশ জমির উদ্দীনকেও আটক করে থানায় নিয়ে যান। তিনি স্থানীয় যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত। তবে হঠাৎ কী কারণে তার এমন কাণ্ড তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। তবে তিনি কিছুটা মানসিক বিকারগ্রস্ত বলে শোনা যাচ্ছে।
রাত ৯টার দিকে পুলিশ, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ মাকে উদ্ধারের পর তাকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন জানিয়ে চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমরান আল হোসাইন ঘটনাস্থল থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আমরা মাকে জীবিত উদ্ধার করেছি। ঘাতক ব্যক্তিকে আটক করে থানায় রাখা হয়েছে। তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।