জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী,চন্দনাইশ প্রতিনিধি:-
চন্দনাইশে বরমায় ইউনিয়নে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান শ্রী শ্রী শুক্লাম্বর দিঘীর পীঠ মন্দিরে দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা ও মন্দিরের উন্নয়ন কমিটি গঠিত হয়েছে।
২০ জুলাই (শুক্রবার) শুক্লাম্বর দিঘীর পীঠ মন্দির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হারাধন দেব,সাধারণ সম্পাদক নৃপেন্দু দত্তের সঞ্চালনায় দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখেন শুক্লাম্বর দিঘীর উন্নয়ন কমিটি সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবু অরুপ রতন চক্রবর্ত্তী,বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে,অধ্যাপক ড. বিপ্লব গাঙ্গুলী, দীপক দেব,পরিমল দেব, সুবল তালুকদার,অমর প্রসাদ ভট্টাচার্য্য, এডভোকেট জয় ভট্টাচার্য,সন্তোষ দেব, অধ্যাপক রাখাল ধর,বাবু মধু সুদন দত্ত, পরিমল মহাজন ,ডা.কাজল কান্তি বৈদ্য,ইঞ্জিনিয়ার ভবশংকর ধর, এডভোকেট রতন সেন, রুবেল দেব, বিপ্লব চৌধুরী, আশীষ দেব, রাম প্রসাদ ভট্টাচার্য,বিবেক চৌধুরী,সমীর পাইক, রিংকু ধর,নারায়ন ধর,সন্তোষ দেব, তরুণ দেব, তপন দেব, রিশু মহাজন, সন্তোষ রঞ্জন চৌধুরী,অশেষ দত্ত, বিধান দেব প্রমুখ।
উন্নয়ন কমিটির সহ-সভাপতি অরুপ রতন চক্রবর্ত্তী বলেন- মন্দির অতি পবিত্রস্থান। মন্দিরের পবিত্রতা রক্ষার্থে আমাদের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের এগিয়ে আসতে হবে। উপজেলার তথা চট্টগ্রাম সহ বাংলাদেশ ও বহিবিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে শুক্লাম্বর দির্ঘীর পবিত্র মন্দিরের পরিচিতি সর্বজন জ্ঞাত। প্রতি বৎসর অনুষ্ঠিত বাৎসরিক পূজায় বহি-বিশ্বের কয়েকটি রাষ্ট্র থেকে পূজারীগণ শ্রদ্ধার্ঘ ও মানষ কামনা পূর্ণ করার জন্য মন্দিরে পূজা দিতে আসেন। তাই মন্দিরের উন্নয়নে সকলের এবং উন্নয়ন কমিটির দির্ঘীর উন্নয়নে উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। দিঘীর সংস্কার কাজ শেষ করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ফিরিয়ে আনতে উন্নয়ন কমিটির উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তিনি সকলকে ধর্মের প্রতি সহনশীল হতে অনুরোধ করেন। ড. বিপ্লব গাঙ্গুলী বলেন- শ্রী শ্রী শুক্লাম্বর দির্ঘীর পীঠ মন্দির ইতিহাস প্রসিদ্ধ মন্দির। দেশের মধ্যে যে কয়টি বড় বড় মন্দিরের অবস্থান এখানে স্থান করে নিয়েছেন শুক্লাম্বর দিঘীর মন্দির। মন্দিরের পবিত্রতা রক্ষা করে ভবিষ্যতে উন্নয়ন ও অগ্রগতি প্রতিষ্ঠিত করার আহ্বান জানান। শুক্লাম্বর দিঘীর পীঠ মন্দিরের উন্নয়ন কমিটি গঠন উপলক্ষে অফিস কক্ষে ২য় অধিবেশন উন্নয়ন কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি অরুপ রতন চক্রবর্ত্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সকলের সম্মতিক্রমে পীঠ মন্দিরের উন্নয়ন কমিটির পুনরায় বাবু হারাধন দেবকে সভাপতি, বাবু নৃপেন্দ দত্তকে সাধারণ সম্পাদক ও আশিষ দেবকে সাংগঠনিক সম্পাদক, রাম প্রসাদ ভট্টাচার্য অর্থ সম্পাদক করে ৩১সদস্য বিশিষ্ট উন্নয়ন কমিটি গঠন করা হয়।