জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী
চন্দনাইশ প্রতিনিধি:
চন্দনাইশে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা.শাহাদাত হোসেন তার ফুলেল শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে বলেছেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে সম্প্রসারিত করে ৪১ ওয়ার্ডের বাইরে উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের একটি অংশ সিটি কর্পোরেশনের আওতায় আনার কাজ চলছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য কর্ণফুলী ব্রিজের দক্ষিণ পাশে বাস ষ্টেশন করার জন্য জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলে জায়গা নির্ধারণের কাজ চলছে। জলাবদ্ধতা নিরসণের জন্য শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের খাল খনন কর্মসূচিকে পুণরায় চালু করলে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে তিনি মত ব্যক্ত করেন। তিনি মানুষের উপস্থিতি দেখে আবেগ প্রবণ হয়ে চট্টগ্রামের ভাষায় বলেছেন, আই তোয়ারারল্লয় আছি, থাইক্কুম, তোয়ারার হন সমস্যা অইলে মেয়র ভবনত আই যাইনগু। তিনি বক্তব্যের শুরুতে চন্দনাইশের মনিষীদের নামের পাশাপাশি রাজনীতিবিদ কর্ণেল অলির নাম উল্লেখ করেন। বিএনপি পালায় না, আওয়ামীলীগ পালায়। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু মারা যাওয়ার পর তারা কেউ বঙ্গবন্ধুর জানাযা পর্যন্ত পড়েনি। ৫ আগস্টে শেখ হাসিনার সাথে তাদের নেতাকর্মীরাও পালিয়েছে। সীমান্ত এলাকা থেকে বলছেন টুপ করে ডুকে যাবেন। আমরা বসে থাকব না। বিগত ১৬ বছর ধরে হত্যা, গুম, মামলা-হামলা, নির্যাতন করেছে আওয়ামীলীগ। জুলাইয়ের আন্দোলনে তারেক জিয়া বিদেশ থেকে নেতৃত্ব দিয়ে সফলতা এনেছেন। অনেকে শহীদ হয়েছেন, অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তাদের প্রতি তিনি শ্রদ্ধা জানান। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৮০ সালে চন্দনাইশে বরুমতি খাল খনন করেছিলেন। সেখানে তার নামে একটি ফলক স্থাপন করা হবে। তারুণ্যের প্রতীক তারেক জিয়ার নেতৃত্বে আগামীতে সাধারণ মানুষের মন জয় করে নির্বাচনে জয়লাভের মধ্যদিয়ে তারেক জিয়াকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়। এখন বিএনপির বিরুদ্ধে দেশি ও বিদেশী ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। তাই সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানান। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে ক্লিন, গ্রীন, হেলদি সিটি করার মহাপরিকল্পনা অব্যাহত রয়েছে। ময়লা-আবর্জনাকে আধুনিক প্রক্রিয়ায় সম্পদে পরিণত করলে আর ময়লা-আবর্জনা পাওয়া যাবে না। বিকাল ২টা থেকে সমাবেশ স্থলে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার মিছিলে মিছিলে শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানটি বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হয়। কাসেম মাহাবুব উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ এক পর্যায়ে কানাই কানাই পরিপূর্ণ হয়। মাঠে জায়গা না পেয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীরা বিদ্যালয়ের সামনে সড়কে অবস্থান করার কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এ ২০০৬ সালে বিএনপি থেকে কর্ণেল অলি বেরিয়ে যাওয়ার পর এই প্রথম চন্দনাইশে বিএনপির বিশাল শো-ডাউন। বিএনপির এ অনুষ্ঠান চন্দনাইশ বিএনপিকে জাগ্রত করেছে। ৩ গ্রুপে বিভক্ত বিএনপির মধ্যে ডা. শাহাদাত সমর্থিত গ্রুপের একাংশের ফুলেল শুভেচ্ছা প্রমাণ করেছে চন্দনাইশ বিএনপির অবস্থান।
গতকাল ৭ ডিসেম্বর বিকালে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনকে চন্দনাইশ উপজেলা, পৌরসভা, দোহাজারী পৌরসভা, বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, সহযোগি ও অঙ্গ সংগঠনের ব্যবস্থাপনায় ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন উদযাপন কমিটির উদ্যোগে চন্দনাইশ সদরস্থ কাসেম মাহাবুব উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উদযাপন কমিটির আহবায়ক ইফতেখার হোসেন ইফতু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট মিজানুল হক চৌধুরী, সাবেক বিচারপতি আবদুস ছালাম মামুন, বিএনপি নেতা যথাক্রমে এম.এ হাশেম রাজু, জাহাঙ্গীর আলম, সিরাজুল ইসলাম, জসিম উদ্দীন, কামরুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম রাহী। কমিটির সদস্য সচিব মঞ্জুর আলম তালুকদারের সঞ্চলনায় আলোচনায় অংশ নেন মহানগর বিএনপি নেতা গাজী সিরাজদ্দৌল্লাহ, বাদশা মিয়া, এডভোকেট মঈন উদ্দীন সোহেল, দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম, জসিম উদ্দীন, উপজেলা বিএনপি নেতা যথাক্রমে আবদুল মাবুদ মাহাবু, জাহাঙ্গীর আলম, নজরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম খাঁন, বাহাউদ্দীন চৌধুরী, আরিফুল ইসলাম মারুফ, তরিকুল ইসলাম টুটুল, আবদুল মজিদ শাহ, কমর উদ্দীন, আবদুল মান্নান, সেলিম উদ্দীন, জিয়াউর রহমান জিয়া, শহিদুল ইসলাম, আবু তৈয়ব, আজম খাঁন, আবদুল আজিজ, আবদুল মান্নান, সেলিম উদ্দীন, হাসান মুরাদ, আবদুল করিম, সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।