চন্দনাইশ প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশ মাজার পয়েন্ট ব্রিজ সংলগ্ন ভাই খলিফাপাড়া এলাকায় থেকে দ্রুতগামী যাত্রী বাসের ধাক্কায় নিহত হয়েছে হেফজখানার শিক্ষার্থী মিশকাতুল ইসলাম (৯)।
গত ২৪ জানুয়ারি বিকালে মিশকাত খুশি মনে তার হেফজখানা থেকে তাদের গ্রামের বাড়ী আনোয়ারা থানার গহিরা রায়পুর মনু মিয়া ফকিরের ওরশ মাহফিলে যাওয়ার জন্য চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মাজার পয়েন্ট ব্রিজের উত্তর পাশে ভাই খলিফাপাড়া এলাকায় সড়কের পূর্ব পাশে অবস্থান করছিল। পশ্চিম পাশে মৌলভী দোকান থেকে আসা তার ফুফু রিজুয়ারা বেগম ও ফুফা মো. মোস্তাক মিশকাতের জন্য দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে। মিশকাত সড়ক পাড় হতে গিয়ে কক্সবাজার অভিমূখি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় সড়ক থেকে প্রায় ১৫ ফুট দূরে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা ও তার ফুফা-ফুফি তাকে দ্রুত বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার চাচা মো. ইমরান ও তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিফজুল কোরআন হেফজখানার হোস্টেল সুপার মাওলানা আবদুল হামিদ। মিশকাতের পিতা হাফেজ আবু ছালেহ’র ছেলেকে স্বপ্ন ছিল তার ছেলে তার মতো কোরআনে হাফেজ শিক্ষা গ্রহণ করবে। সে লক্ষ্যে ২০২৩ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে চন্দনাইশের উত্তর হাশিমপুর ভাই খলিফাপাড়া হিফজুল কোরআন ফাউন্ডেশন হেফজখানায় ভর্তি করান। মিশকাত ইতিমধ্যে ৭ পারা কোরআন শরীফ হেফজ করেছেন বলে জানিয়েছেন তার শিক্ষক হাফেজ আবদুল হামিদ। কিন্তু কে জানতো হেফজখানায় ভর্তির ১১ মাসের মাথায় মিশকাতকে জীবন দিতে হবে মহাসড়কে। ফুটফুটে মিশকাতের হাসি মাখা চেহারা কেউ ভুলতে পারছে না। মা-বাবা নয়, এমনকি আত্মীয় স্বজনদের চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেনা কেউ। এই ভয়ংকর মৃত্যুর কারণে সেই হাসি মাখা উজ্জ্বল চেহারাটা হয়তো আর কেউ দেখবে না। তার মধু মাখা কন্ঠে বাবা-মা ডাকটা আর শুনা হবে না তার পিতা-মাতার। গত শুক্রবার রাতেই মিশকাতের লাশ তার পারিবারিক কবস্থানে দাফন করা হয়। দোহাজারী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ শুভ রঞ্জন চাকমা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, দূর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত শিশুটি ও গাড়ী কোনটিকে পাওয়া যায়নি। তাই আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।