জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী
চন্দনাইশ প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা, জাহাঙ্গীল আলম বলেছেন, আজ ১৫ ডিসেম্বর থেকে চন্দনাইশ হাসপাতালে সকাল সাড়ে ৮ টায় আউটডোরে টিকেট দেয়া শুরু হবে, ৯টা থেকে চিকিৎসকগণ চিকিৎসা সেবা দেয়া শুরু করবে। বিরতিহীনভাবে দুপুর ২.৩০টা পর্যন্ত সেবা দিতে হবে। জরুরি বিভাগে সব ধরণের ঔষধ দেয়া হবে। স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্য সেবার মান গুণগতভাবে সংখ্যা ভিত্তিতে দেয়া হবে। মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে নীতিবাচক ধারণ পরিহার করতে হবে। সরকারি হাসপাতালের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্তা ফিরিয়ে এনে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়া রোধ করতে হবে। আমাদের সকলের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। বিশ্বায়নের এ যুগে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে মডেল হাসপাতালে রূপান্তরিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান। তিনি ব্যক্তিগতভাবে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য সেবাকে উদাহরণ সৃষ্টি করতে চান। সহকর্মীদেরকে ও উদাহরণ সৃষ্টি করার সহযোগি হওয়ার আহবান জানান। চিকিৎসকদের আচার-আচরণ, নৈতিকতা ও জীবন-যাপন পদ্ধতি এমন হতে হবে যেন তা অন্যদের জন্য অনুকরণীয় হয়। চিকিৎসকদের অন্যতম কাজ হচ্ছে রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা। কোনো অবস্থাতেই ১ জন রোগী যেন বিনা চিকিৎসায় হাসপাতাল থেকে ফেরত না যায়।
১৪ ডিসেম্বর সকালে চন্দনাইশে কর্মরত সংবাদকর্মীদের সাথে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলমের মতবিনিময় সভা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. আবদুল্লাহ আল ইরফানের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন দোহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তানজিম ইসলাম, সাংবাদিকেরা তাদের বক্তব্যে চন্দনাইশ ও দোহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্স-রে মেশিন দীর্ঘদিন ধরে অচল, ২টি এ্যাম্বুলেন্স থাকলেও নেই চালক, উভয় হাসপাতালে সীমানা প্রাচীর না থাকায় হাসপাতালের বিভিন্ন সম্পদ চুরি, চন্দনাইশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১ জনের মধ্যে ১০ জন, দোহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭ জনের মধ্যে ৫ জন চিকিৎসক রয়েছে। খালি পদগুলো পূরণের জন্য দাবী জানানোর পাশাপাশি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসকগন রোগীদের প্রতি আন্তরিকভাবে সেবা প্রদানের উপর গুরুত্বারোপ করেন।