জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আহসান উল্লাহ বলেছেন, স্বৈরাচারী সরকার ৪ জানুয়ারি জামায়াত শিবির ও জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করেছিলো, ৫ আগস্টের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাদেরকে ডেকে নিয়ে প্রথমে আলিঙ্গন করেছেন। দেশের সবচেয়ে নির্যাতিত দল জামায়াতে ইসলামী। আমাদের ১১ জন নেতাকে মিথ্যাভাবে ফাঁসি দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে, ৩৫০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। দেশের ৪৮ শতাংশ মহিলা ভোটার, তাদেরকে নির্বাচনে সম্পৃক্ত করার জন্য ঘরে ঘরে যেতে হবে। জামায়াতে ইসলামীকে হিন্দু, বৌদ্ধ ও দেশের সাধারণ মানুষ ভোট দিতে চাই। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে দেশের ৩’শ আসনে প্রার্থী দেয়া হচ্ছে। তৎমধ্যে ১৫ জন কেন্দ্রীয় নেতা, ১০ জন ছাত্র শিবির নেতাকে মনোনীত করা হয়েছে। ডা. শাহাদাৎ হোসেন চট্টগ্রাম-১৪ আসনের জন্য একজন মনোনীত প্রার্থী ঘোষণা করার সাথে সাথে উৎসুক জনতার মধ্যে নারায়ে তাকবীর শ্লো-গানে মূখোরিত হয়ে উঠে সমাবেশ স্থল। জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর আইন চাই, সৎ লোকের শাসন চাই। স্বৈরাচারী সরকার এ দেশকে নিয়ে অনেক খেলেছেন, আর খেলবেন না। ১৮ কোটি মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধ ভারতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে। পরিবারতন্ত্র ভাঙ্গতে হবে, দিনের ভোট দিনে নেয়ার ব্যবস্থা করার জন্য সংস্কার করতে সরকারকে সময় দিতে হবে। তিনি কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, নির্বাচনের জন্য কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ২ ঘন্টা করে নির্বাচনের জন্য সাংগঠনিকভাবে সময় দিতে হবে। অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিলো, তারা জনগণের মুক্তি আনতে পারে নাই। জনগণের আশা-আকাংঙ্খা পূরণ করতে পারেনি, তাই সংসদে কোরআনের আওয়াজ তোলার জন্য জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী প্রয়োজন। মনোনীত প্রার্থী ডা. শাহাদাৎ হোসেন বলেছেন, আমাকে দল যে সম্মান দিয়েছে তা ধরে রাখার জন্য সবাইকে ভোট পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। মহান বিপ্লবের মাধ্যমে পরিবর্তনের সুযোগ পেয়েছি। এ রকম পরিবর্তন আগে এসেছিলো, তারা কোরআন ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। সামনে পরিবর্তনের সময় এসেছে, সুযোগকে কাজে লাগাতে না পারলে আমরা সবাই ব্যর্থ হবো।
গতকাল ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকালে দোহাজারীতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সর্বস্তরের দায়িত্বশীলদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দক্ষিণ জেলা জামায়াতে আমীর আনোয়ার আলম চৌধুরী’র সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন- কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আহসান উল্লাহ, বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সূরা সদস্য জাফর ছাদেক। মো. ইলিয়াছের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন- সংগঠনের মনোনীত প্রার্থী, চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাদাৎ হোসেন, উপজেলা আমীর মাওলানা কুতুব উদ্দীন, সিরাজুল ইসলাম, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইব্রাহিম চৌধুরী, আবুল বশর ছিদ্দিকী, জমির আদনান, মাস্টার নুরুল হোসেন, মাস্টার নুরুল হুদা, কাজী ছাদেক পারভেজ, মো. সাইফুদ্দীন, মাওলানা আইয়ুব আলী, ডা. আবদুল জলিল, মাওলানা কামাল উদ্দীন, মো. নাছিরুল্লাহ, অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক, দক্ষিণ জেলা ছাত্র শিবির সভাপতি আসিফুল্লাহ মো. আরমান প্রমূখ। উপস্থিত ছিলেন জামায়াত নেতা যথক্রমে- জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল মান্নান, হেলাল উদ্দীন, জয়নাল আবেদীন।