চন্দনাইশ প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম-১৪ আসনের চন্দনাইশে নিবার্চনী সহিংসতায় পৃথক পৃথক ঘটনায় ৩০ জনের অধিক আহত হয়। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, এক কনস্টেবল, বিভিন্ন সূত্রে জানামতে ৪ জন ভোটার গুলিবিদ্ধ হয়। আহতদেরকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।
গতকাল ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষে আহতরা হলেন চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শামীম হোসেন মুছা (৫৬), কনস্টেবল মো. আরফাত হোসেন (২৫), পুলিশের গাড়ি চালক যথাক্রমে,নুর হোসেন (৩৮), বাপ্পি দাশ (২১), গুলিবিদ্ধ গাছবাড়িয়ার আমিনুল হক (২৩), আমিনুল্লাহ মেজবাহ (২৮), মধ্যম চন্দনাইশের মো. নোমান (২১), পৌরসভার সিকদারপাড়ার আতিকুর রহমান (১৯), আহতরা হলেন মোহাম্মদপুরের আমিনুল ইসলাম চৌধুরী কায়সার (৪০), দক্ষিণ হারলার সাইমন ইসলাম (২০), হারলার মো. তানজীদ (১৯), হাশিমপুরের চেয়ারম্যান এড. খোরশেদ বিন ইসহাক (৫২), মো. আসিফ (২৪), জোয়ারার জুয়েল সরকার (২৮), পাঠানদন্ডীর শরফুদ্দীন চৌধুরী কাজল (৩৫), আলাউদ্দীন (৩৫), চন্দনাইশ চৌধুরী পাড়ার গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি শেখ টিপু চৌধুরী (৬০), মো.জলিস (২৫), দোহাজারীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর আলী হিরু (৭৫), মাহাবুব আলম (২৮), আরিফুল ইসলাম (২০), ভুট্টো খান (৫০), রাজিব নাথ (৩২), কালিয়াইশের নজরুল ইসলাম মুন্না (২৬), মো. মিজান (৩৩), নারায়ন চৌধুরী (৫৪), সাতবাড়িয়া হাজিরপাড়ার মো. মিজানুল করিম (২৮), মোহাম্মদখালীর আবদুল্লাহ আল নোমান (২৪), খাগরিয়ার মো.পারভেজ (২৪), মোহাম্মদ মুন্না (৩২) হয়। আহতদেরকে চন্দনাইশ ও দোহাজারী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। গুলিবিদ্ধ আতিকুর রহমান ও নজরুল ইসলাম মুন্নাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
নির্বাচন চলাকালীন পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড হাজি বশরত আলী উত্তর গাছবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুর্বৃত্তরা স্ট্রাইকিং ফোর্স এর গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে তাদের গাড়ির সামনের কাঁচ ভেঙ্গে যায়। অপরদিকে মধ্যম কাঞ্চননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দোহাজারী উচ্চ বিদ্যালয়, গাছবাড়িয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সাতবাড়িয়া হাজিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কানাইমাদারী কাদেরীয়া মাদ্রাসা, চাগাচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব চন্দনাইশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ফাঁকাগুলি বর্ষন করা হয়। এসময় ভোট কেন্দ্রের চারপাশে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে র্যাব- ৭, বিজিবি, পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অপরদিকে সন্ধ্যার পরপর নৌকার সমর্থক দোহাজারী পৌরসভার মেয়র লোকমান হাকিমের পেট্রোল পাম্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে মালামাল লুটপাট ও অনেক টাকার ক্ষতি সাধন হয়।
নৌকার প্রার্থী নজরুল ইসলাম চৌধুরী সকাল সোয়া ১০টায় মধ্যম কাঞ্চননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। অপরদিকে ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল জব্বার চৌধুরী হাশিমপুর মকবুলিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্রে সকাল ৮টায় প্রথম ভোটটি প্রদান করেন। এসময় তারা দুইজনই জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করে সুষ্ট নির্বাচন কামনা করেছিলেন। অপর দিকে মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী স.উ.ম আবদুস সামাদ চট্টগ্রাম- ৮ আসনের ভোটার হওয়ায় এ আসনে প্রার্থী হয়েও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি।