কোরআনের পাখি হাফেজদের উৎসাহিত ও অনুপ্রানিত করার লক্ষ্য প্রথমবারের মত ব্লগবাড়ির আয়োজনে, সিস্টেম গ্রুপের পৃষ্টপোষকতায় ও ভেঝা এডভাটাইজিং ও ইভেন্ট ফার্মের ব্যবস্থাপনায় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা-২০২৪ সম্প্রতি নগরীর কামালে ইশকে মুস্তফা (সাঃ) ফাজিল মাদ্রাসা হল রুমে সম্পন্ন হয়।
প্রথম অধিবেশন তথা অডিশন রাউন্ডে বিজ্ঞ বিচারক মণ্ডলীর পরিচালনায় সমাপ্তি হয় দুপুর ২টায়, এতে যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন মারুফ হাসান ওয়াহেদ ও জুবায়ের হোসেন।
মুহুমুহু উৎসবের মধ্যদিয়ে দ্বিতীয় অধিবেশন বিকাল ৩টায় শুরু হয়ে সমাপ্তি হয় রাত ৮টায়।
প্রাণবন্তভাবে গ্রান্ড ফিনালে তথা ফাইনাল রাউন্ডে উপস্থাপনা করেন হিফজুল কুরআন ২০২৪ এর প্রোগ্রাম কো-অডিনেটর গিয়াস উদ্দিন।
ব্লগবাড়ির প্রতিস্টাতা ও সিইও কাজী সাঈদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এস এ ফ্যামেলির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চেয়ারম্যান, সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী মোহাম্মদ শাহ আলম। প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন লেখক ও কলামিস্ট ড. মুহাম্মদ মাসুম চৌধুরী।
সমাপনী অধিবেশনে সম্মানিত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতার টাইটেল স্পন্সর, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী সিস্টেম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফজলুল আজিম।
হিফজুল কুরআন ২০২৪ এর প্রোগ্রাম চেয়ারম্যান ও মিত্র বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আইয়ুব,
কামালে ইশকে মুস্তফা (সাঃ) ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ তোয়াহা মুহাম্মদ মুদ্দাচ্ছির, লাইফ ফর লাইফ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আনিস ওয়ারেচী, বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা নাজিম উদ্দীন চৌধুরী এ্যানেল, আলিম মরিয়ম ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল করিম, ফুলকলি গ্রুপ অব ইন্ড্রাস্ট্রিজের জেনারেল ম্যানেজার এম এ সবুর, বেওয়ারিশ সেবা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা শওকতুল ইসলাম পিপিএম সহ বিশিষ্ট আলেমগণ উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত প্রতিযোগিতায় ৫০ টি প্রতিষ্ঠানের ২০০ প্রতিযোগি অংশগ্রহণ করেন। এতে ১ম পুরুষ্কার অর্জন করেন- পেকুয়া বায়তুল ফোরকান ইন্টারন্যাশনাল হেফজখানার ছাত্র মোঃ আবদুর রহমান, ২য় পুরুষ্কার অর্জন করেন চট্টগ্রাম নগরির রাহাত্তারপুল মারকাজুত তাকওয়া মাদ্রাসার ছাত্র মোঃ তাহজিদ হোসেন। ৩য় পুরুষ্কার অর্জন করেন- ফেনী নূরে মদিনা মাদ্রাসার ছাত্র মোঃ আনাস জামিল।
পুরুষ্কার হিসেবে সর্বমোট এক লক্ষ্য টাকা এবং সকল প্রতিযোগিদের জন্য সনদ ব্যবস্থা করেন।
বক্তারা বলেন, ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান প্রজন্মকে অনৈতিক কর্মকান্ড থেকে দূরে রাখে এবং আগামীতেও অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখার আহ্বান জানান।