চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
চকরিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক এ কে এম ইকবাল ফারুক কে মামলায় আসামী করার প্রতিবাদে চকরিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ১৮ আগষ্ট বিকাল ৪টায় ক্লাব কার্যালয়ে এক জরুরী সভা অনুষ্টিত হয়েছে।
সভায় বক্তারা বলেন, এ কে এম ইকবাল ফারুক বর্তমানে চকরিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কর্মরত রয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সিআইপির মালিকানাধীন দৈনিক পূর্বদেশ ও ঢাকার আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকায়, প্রতিনিধিত্ব করছেন চকরিয়া থেকে।
তিঁনি দীর্ঘ ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা করছেন চকরিয়া থেকে। ব্যক্তিগতভাবে তিঁনি একজন পরিচ্ছন্ন, সৎ ও প্রকৃত/পুরাদস্তুর পেশাদার সাংবাদিক।
তিঁনি ব্যক্তিগতভাবে কোন রাজনৈতিক দলের কর্মী বা কট্টর সমর্থকও নন। প্রকারান্তরে ইকবাল ফারুক বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য।
বক্তারা আরো উল্লেখ করে বলেন, ১৫ আগষ্ট বিকেলে ঘটনা সংঘটনের সময় ইকবাল ফারুক ছিলেন অসুস্থ সন্তানকে নিয়ে চিকিৎসকের দরবারে। এমনকি তিঁনি তাঁর ব্যবহৃত ফেসবুক একাউন্টে সরকার বা রাষ্ট্রবিরোধী কোন অপপ্রচারও করেন নি।
যদিওবা সাংবাদিক সাইনবোর্ডের আড়ালে অনেকে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে লিপ্ত থাকার বিষয়ে অহরহ শোনা যায়। এই বিষয়ে আমাদের কিছুই বলার নেই। এর পরও তাকে কার ইশারার, কোন মহলের ষড়যন্ত্রে মামলায় আসামী করা হলো তা আমরা জানতে চাই কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার, চকরিয়ার সহকারি পুলিশ সুপারসহ সর্বোপরি থানার ওসির কাছে। আমরা এই মামলার আসামীর তালিকা থেকে সাংবাদিক ইকবাল ফারুককে দায়মুক্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছোটন কান্তি নাথের সঞ্চালনায় ও সভাপতি ইবনে আমিনের সভাপতিত্বে জরুরি সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি জিয়াউদ্দিন ফারুক, বিএম হাবিব উল্লাহ, মনজুর আলম, যুগ্ম সম্পাদক আবুল মনসুর মো. মহসিন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এম জুনাইদ উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল করিম বিটু, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক সুমন কান্তি দাশ, দপ্তর সম্পাদক আবদুল করিম বিটু, মো. ওমর আলী, কামরুল আহসান সায়েম প্রমুখ।