চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি,
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নস্থ (ভূমি) বহলতলী মৌজার আমলদারী ঘোনার প্রকৃত জমির মালিক মজু মিয়ার লবণ মাঠ সম্পত্তি তার ওয়ারিশ থেকে কেড়ে নিতে রাতের আধারে হামলা,এরপরে উল্টো মামলা ও ১৪৪ধারা পিটিশনের তদন্তে গড়িমসি অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সঈদ গংয়ের বিরুদ্ধে।
সূত্রে জানায়,১২৭১ নং সোলেহনামা মুলে মজু মিয়া পিতা আবদুল আলী ১ একর ৩৪ শতক সম্পত্তির মালিক হয়ে মজু মিয়ার নামে বিএস ৬১ খতিয়ান প্রচারিত রয়েছেন।
মজু মিয়ার মৃত্যূের পরে তার ওয়ারিশ ছফুরা খাতুন ও রশিদ আহমদের ছেলে কামাল উদ্দিন রুবেল পৈত্রিক সম্পত্তির মালিক হয়।তারা ভোগ দখলে আছেন।
ভূক্তভোগি ওয়ারিশান মালিক রুবেল জানান,আমার পৈত্রিক সম্পতি আমার পিতার মৃত্যূের পরে আমি ও ওয়ারিশগংরা ভোগ-দখলে আছি। হঠাৎ র্দূলোভের বর্শবর্তী হয়ে আমার একই ইউপির মামলাবাজ,দখলবাজ ৮নং ওয়ার্ড নতুন পাড়া এলাকার মৌলভী মোজাম্মেল হকের ছেলে সাঈদ, আনাছ ও মোঃ ওসামা, মৌলভী কবির আহমদ এর ছেলে জকরিয়া ও আবদুল্লাহরা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাস নিয়ে রাতের আধারে আমার চাষকৃত লবণ মাঠে হামলা চালায়। এসময় তারা ৫/৬ ফায়ার গুলিবর্ষণ করে। পরে তারা আমার চাষাদেরকে মারধর করেন সাথে একজনকে ধরে নিয়ে যায়।পরে আমরা ওয়ারিশগংরা এলাকার প্রভাবশালী লোকের সুপারিশ নিয়ে অপহৃত চাষাকে ফেরত আনি। পরে জবর-দখল চেষ্টাকারীর বিরুদ্ধে ছফুরা খাতুন বাদী হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কক্সবাজারে এম.আর. ৪০৯/২৩ মামলা অর্থ্যাৎ ১৪৪ধারা আবেদন করি। মামলা দায়ের খবরটি শোনে বিবাদীরা উল্টো রাতারাতি থানার এসআই মুজিবকে মোটা অংকে ম্যানেজ আমাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করেছেন। এই মিথ্যা মামলায় পুলিশের চরম হয়রানি সহ্য করতে না পেরে আদালতে আত্মসম্পর্ণের মাধ্যমে জামিন লাভ করি।
তিনি আরো জানান,১৪৪ধারার মামলায় সরেজমিনের প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন আদালত।ঘুরে ফিরে তদন্তভারটি চিরিংগা ইউনিয়ন ভূমি অফিস কর্মকর্তাকে হাওলা করা হয়। তিনি মামলার বাদী আর বিবাদীকে গত ৬এপ্রিল সরেজমিনে তদন্ত করবে মর্মে নোটিশ দেন। কিন্তু তিনি না এসে অফিসের ইকবাল নামের এক কর্মচারীকে পাঠানো হয়।তিনি ঘটনাস্থলে না গিয়ে প্রভাবশালী সাথে উৎকোচের চুক্তিতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চেষ্টা তকবিরে গড়িমসি করছেন। যে কারণে জবর-দখলকারী আবারো হামলা চালিয়ে জমি কেড়ে নিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে আটকানো ষড়যন্ত্র ফের শুরু করেছেন।তদন্তদিনে ভূমি কর্মচারী ইকবাল স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিকবৃন্দ ও জমির মালিকগন উপস্থিত দেখে চলে যান।
চিরিংগা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার ছলিমুল্লাহ সাথে এ বিষয়ে কথা বললে,তিনি উত্তর দেন,আমি অফিসের কাজে ব্যস্ত ছিলাম।আমার প্রতিনিধি ইকবাল ঐ এলাকার স্থানীয় লোক বলে পাঠিছিলাম। সে যদি পক্ষপাতিত্ব বা মিথ্যা আশ্রয় নিচ্ছেন।বাদীর এমন অভিযোগ পেলে,আমি নিজে গিয়েই সরেজমিন তদন্ত করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।