জেপু.দত্ত,চকরিয়া প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের চকরিয়ায় হারবাংয়ের ঐতিহাসিক রাস উৎসব থেকে বাড়ী ফেরার পথে বাস দুর্ঘটনায় নিহত হন পরিমল কান্তি দে নামক এক ভক্ত। পরিমল কান্তি দে ও তাঁর দুই নাতিসহ গিয়েছিলেন রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে হারবাংয়ে অনুষ্ঠিত রাস মহোৎসব দেখতে। রাতে রাস মহোৎসব দেখে প্রসাদ খেয়ে বাড়ি ফিরছিলেন দুই নাতিসহ পরিমল। তবে সড়ক পারাপারের সময় একটি যাত্রীবাহি বাসের চাপায় পরিমল নিহত হলেও অল্পের জন্য রক্ষা পান সাথে থাকা দুই নাতি। ফলে দুই নাতি ফিরলেও জীবিত ফিরলেন না দাদা পরিমল কান্তি দে।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাত ১০.৪৫ মিনিটে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী একতাবাজার স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত পরিমল কান্তি দে (৭০) বরইতলী সর্বজনীন শ্রী শ্রী কালি মন্দির উন্নয়ন কমিটির সভাপতি অনুপম দে অপু’র পিতা এবং চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম হিন্দুপাড়া এলাকার মৃত ক্ষেমেশ চন্দ্র দে’র সন্তান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, চকরিয়া উপজেলা হারবাং ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে অনুষ্ঠিত রাস উৎসব থেকে ফেরার পথে এ দুর্ঘঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে চিরিংগা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ খোকন কান্তি রুদ্র বলেন, রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে পার্শ্ববর্তী হারবাং ইউনিয়নের ধর পাড়ায় রাস মহোৎসব চলছে। সোমবার রাতে দুই নাতিসহ পরিমল কান্তি দে রাস মহোৎসবে যান। ওই দিন রাতে প্রসাদ গ্রহণ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। হারবাং স্টেশন থেকে ম্যাজিক গাড়িতে করে তারা তিনজন বরইতলী স্টেশনে নেমে যান। পরে তারা সড়ক পারাপার করতে গেলে দাদা পরিমলের সাথে থাকা দুই নাতিকে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করতে গিয়ে তিনি বাসের চাপা পড়ে যান। পরিমল কান্তি দে’র নাতিরা পিছনে সরে যাওয়ায় তারা রক্ষা পেলেও বাস চাপায় নিহত হন পরিমল কান্তি দে।
খবর পেয়ে চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত পরিমলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাসটি চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত কাল ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার বরইতলী পশ্চিম হিন্দুপাড়া মহাশশ্মানে সনাতনীয় বিধিমতে পরিমল কান্তি দে’র মৃতদেহের সৎকাজ (দাহ) সম্পন্ন করা হয়। ওনার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। এ ছাড়া বিভিন্ন সনাতন সম্প্রদায়ের সংগঠন ও বিভিন্ন ব্যাক্তিবর্গ ওনার আকস্মিক মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন।