চকরিয়া(কক্সবাজার) প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজার জেলার চকরিয়ার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ইদমনিতে এক সংখ্যালঘু পরিবার আতংকে রয়েছে বলে অভিযোগে জানা যায়। এক শ্রেণির ভূমিদস্যু সংখ্যালঘু সাবুল চন্দ্র দাশ ও তার ভাইয়ের পরিবারের উপর হামলা করে তাদের জমি দখল করে নিয়ে মাছ চাষ করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, চকরিয়ার পূর্ব বড় ভেওলার ঈদমননি ১ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা সাবুল চন্দ্র দাশ,তার ভাই প্রফুল্ল চন্দ্র দাশ ও ছোট ভাইয়ের দাদা মৃত রমেশ চন্দ্র ধুপীর ১০ শতক জমি একই এলাকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপে লিপ্ত মোহাম্মদ জলিলের সন্তান আলমগীর(৪৫),জাহাঙ্গীর আলম(৫০),কাছিম আলী(৬০) ও নেজাম উদ্দীন (৪২) সহ আরো ৫/৬ জন সন্ত্রাসী বিগত ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে সকাল ৭ টায় ধারালো ক্রিচ ও অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে হামলা করে মৃত রমেশ চন্দ্র ধুপীর ওয়ারিশগনের খতিয়ানভুক্ত জমি জবর দখল করে নেয়। এ ব্যাপারে মৃত রমেশ চন্দ্র ধুপীর নাতী সাবুল চন্দ্র দাশ,প্রফুল্ল চন্দ্র দাশ ও তাদের ছোট ভাই বিচারের আশায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের দ্বারস্থ হয়েও কোনো ন্যায় বিচার পায়নি। যার ফলে সাবুল চন্দ্র দাশ বাদী হয়ে ১৬ ডিসেম্ব ২০১৮ সালে চকরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে বলেও জানান সুবল চন্দ্র দাশ। বিগত পাঁচ বছর ধরে ওই জমি অবৈধ ভাবে দখল করে ভোগ করে যাচ্ছে,মোহাম্মদ জলিলের সন্তান আলমগীর গং। প্রাণের ভয়ে সাবুল ও তার দুই সহোদর প্রতিবাদ করতে না পেরে নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হয়ে অর্থের অভাবে দিন যাপন করছে। তাদের সহায় সম্পত্তি হারিয়ে দারীদ্রতার কারনে প্রশাসনের কাছে বিচার চাইতেও পারছে না বলে সাবুল ও তার ভাই প্রফুল্ল জানান। দখলকারীরা অসহায় এ হিন্দু পরিবারকে প্রতিনিয়ত ভিটে বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করার জন্য হুমকি দিচ্ছে বলেও সাবুলের ভাই প্রফুল্ল জানান।
এদিকে মোহাম্মদ জলিলের ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী সন্তানেরা সাবুল চন্দ্র দাশের জমি দখল করে সাবুল চন্দ্র দাশের বাড়ীর পাশে বিশাল এক খাল খনন করে মাছ চাষ করছে। এতে সাবুল চন্দ্র দাশের বাড়ী ধ্বসে খালে বিলিন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। বর্ষা কালে পানির স্রোতে তাদের বাড়ীঘর ভেসে নিয়ে গেলে সাবুল চন্দ্র দাশ ও তার দুই সহোদরের পরিবার পরিজন নিয়ে মাথা গোজার ঠাঁইও নেই। চকরিয়ার পূর্ব বড় ভেওলার ঈদমনি নামক এ এলাকায় ১০/১২ টি হিন্দু পরিবার অত্যন্ত ভয়ে দিন কাটায় বলে সাবুল চন্দ্র দাশ এ প্রতিনিধিকে জানান।
অর্থনৈনিতক ভাবে চাপে থাকা এ সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবার বিগত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে সুবিচার না পেয়ে মানবেতর দিন যাপন করছে। অর্থ সংকটে থাকায় প্রশাসনের সহায়তাও নিতে পারছে না বলে দাবী করে তিন সহোদর। প্রাণের ভয়ে আদালতে মামলা করার সাহস পাচ্ছে না বলে তিন সহোদর জানালেন। তাই সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছে তিন ভাই।