আসুন মানুষ হয়ে বাচিঁ
আসুন মানুষের জন্য বাচিঁ।
রবিবার চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের হারপাড়া গ্রামে নজর আলী মিস্তিরির বাড়িতে অসহায় মাসুদা খাতুনের নতুন বাড়ি বুঝিয়ে দেয়া হয়। যেটি তৈরী করেছেন মানুষ” নামক সংগঠন এর স্বপ্ন সারথি রাউজানের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক শত মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার ঠিকানা মোহাম্মদ রাশেদ উদ্দিন। নতুন ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন বেওয়ারিশ সেবা ফাউন্ডেশনের সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা মানবিক পুলিশ জনাব শওকত হোসেন, পিপিএম, বেওয়ারিশ সেবা ফাউন্ডেশনের মিডিয়া ও গণসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ ব্লাড ব্যাংক চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি গিয়াস উদ্দীন, সাইদুল ইসলাম তৈয়ব, মোহাম্মদ ইমরান, মোহাম্মদ আরিফ, মানিক রিয়াদ, ওমর ফারুক, ইঞ্জিনিয়ার আরমান, বেওয়ারিশ সেবা ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবক সহ স্থানীয় কিছু স্বেচ্ছাসেবক, ঘর হস্তান্তরের পর বেওয়ারিশ সেবা ফাউন্ডেশনের আরেকটি অনন্য আয়োজন ছিল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে উরকিরচর এলাকার দুই জন ব্যক্তি কে ভ্যান গাড়ি প্রদান, যা দুই টি পরিবারের দীর্ঘ দিনের প্রানের দাবি বা চাহিদা ছিল, হাটহাজারী মদুনাঘাট ডাক্তার খলিল মার্কেটের সামনে চলাফেরা করতে অক্ষম কিন্ত ভিক্ষা না করে সামান্য কিছু জিনিস পত্র বেচাকেনা করে কোন মতে মাকে নিয়ে দু মুটো ভাত খাওয়ার লোক যার বাড়ি হাটহাজারী আকবরিয়া তে, ওনাকে ক্যাশ ১০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যবসা আরেকটু বড় করা ও পরিবার নিয়ে আরো ভাল থাকার জন্য ব্যবস্থা হয় বেওয়ারিশ সেবা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে, আমাদের লক্ষ্য কোন মানুষ কে একবেলা পেটভরে ভাত না খাওয়ায়ে সে যেন পরিবারের সবাই কে নিয়ে ভাল থাকতে পারে সেই দিকে লক্ষ্য রাখা, সব শেষে সবার উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বেওয়ারিশ সেবা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জনাব শওকত হোসেন পিপিএম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সংগঠক জনাব রাশেদ উদ্দিন, গিয়াস উদ্দীন, বক্তারা বলেন বেওয়ারিশ সেবা ফাউন্ডেশন মানুষের জন্য সব সময় আন্তরিক, আমরা মানুষের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করি, মানুষ যেন আত্মসম্মানের সাথে বাঁচতে পারে এবং জীবিকা নির্বাহ করতে পারে এই ব্যপারে আমরা যথেষ্ট আন্তরিক, জনাব রাশেদ আরো বলেন আমরা করোনা মহামারী থেকে শুরু করে এই পর্যন্ত ৪০০ এর অধীক মানুষ কে বিভিন্ন হাসপাতালে ও চিকিৎসা নেওয়ার জন্য বিনামূল্যে সেবা প্রদান করেছি, একটি বাড়ি মানুষের মৌলিক অধিকার কিন্ত অসহায় এই মহিলার কথে কেউ ই চিন্তা করেন নি, ওনার স্বামী নেই, ছেলে সন্তান নেই, পায়ের সমস্যার জন্য ভাল করে হাটতে পারে না, একটা মাথা গোজার ঠিকানা দরকার ছিল, দেশে ও বিদেশি শুভাকাঙ্ক্ষীদের মাধ্যমে আমরা এই ঘর তৈরী করতে সক্ষম হয়েছি, যারা বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছেন সবাই কে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা, সামনে আমাদের এই মানবিক কার্যক্রম চালু থাকবে।