নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রাম নগরের নতুন ব্রীজ এলাকায় গার্মেন্টসে ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় অন্তত ৬/৭ জন আহত ও প্রায় অর্ধশত অটোটেম্পু ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ পরিবহন শ্রমিকেরা কিছু সময়ের জন্য সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখে। রোববার (২৬ মে) বিকালে নগরের বাকলিয়া থানাধীন নতুন ব্রীজ মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর সন্ধ্যা সাতটায় সর্বশেষ এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকাটিতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আফতাব হোসেন বলেন, এলাকাটিতে একটি গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছিল। এরা কারা ছিল তা জানার চেষ্টা চলছে। আমরা গার্মেন্টস মালিকদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি।
ওসি বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির সময় একটি পক্ষের লোকজনের সঙ্গে আবার এক মাহিন্দ্রা গাড়ির চালকের ধাক্কা খাওয়া নিয়ে পরে সেখানে শ্রমিকদেরও মারধর করা হয়।
এই ঘটনায় ৩/৪ জন আহত হয়েছে এবং মামলা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, নেট এপারেলস লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানার জুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রন নিয়ে সরকারদলীয় দুটি পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই সময় ধারলো অস্ত্র দিয়ে একে অপরকে ধাওয়া দেয় দুই পক্ষ। হামলায় বাকলিয়া ও পাথরঘাটা ওয়ার্ড ছাত্রলীগ ও যুবলীগের একাধিক নেতা অংশগ্রহণ করে। এসময় একটি পক্ষ চালকদের ধরেও মারধর ও গাড়ি ভাংচুর করে। ঘটনার পর পরিবহন শ্রমিকেরা গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখে তাঁদের উপর হামলার প্রতিবাদে সড়কে মিছিল করে। ঘটনার পর সেখানে ডাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
চট্টগ্রাম অটোরিকশা অটোটেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের নতুন ব্রীজ শাখার সাধারণ সম্পাদক জানে আলম বলেন, কিছু সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ অবৈধ টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনার সময় ১০০/১৫০ সন্ত্রাসী দেশীয় ধারালো অস্ত্রসন্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালায়। এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। অথচ তাঁরা আমাদের গাড়ির চালক ও যাত্রীদের মারধর করা সহ গাড়ি ভাংচুর করে। এই ঘটনায় আমাদের ১০/১৫ জন চালককে আহত ও ২৮ টি মাহেন্দ্রা অটোটেম্পু ভাংচুর করা হয়। এসময় চালকেরা নিরাপত্তার কথা ভেবে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখে। পরে প্রশাসনের অনুরোধে শ্রমিকেরা শান্ত হয়।
হামলায় মামুন, সুজন, লিটন,আজমীর শাহ,তুহিন, মিঠুন দাশ সহ এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজদের দেখা গেছে বলে জানান তিনি।