মোঃ ইদু খান স্টাফ রিপোর্টারঃ
নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার সদ্য সাবেক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সামিল সারোয়ারের স্বাক্ষর জালিয়াতি ও ভুয়া স্মারক নম্বর ব্যবহার করে জলমহাল ইজারা নেওয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় রবিবার (২৫ জুন) খালিয়াজুরী উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বয়রা গ্রামের মোঃ হালিম মিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের বিবরণীর বরাত দিয়ে গাজীপুর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের সভাপতি মোঃ আরিফ উদ্দিন বলেন, মোঃ কামরুল ইসলাম তাং একজন প্রতারক ও মিথ্যাবাদী। তিনি গাজীপুর ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আতাউর রহমান চৌধুরী নিখিলের ছেলে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) খালিয়াজুরী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষর জাল করে ও উপজেলা ভূমি অফিসের ভুয়া স্মারক নম্বর এবং তারিখ ব্যবহার করে অত্র উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত কুলির দাইর ও ছোট ফেনি ( বিশ একরের নিচে) নামক জলমহাল দুটি ১৪৩০ বাংলা সনের অবশিষ্ট সময়ের জন্য খাস আদায় সংক্রান্ত একটি ভুয়া চিঠি তৈরি করে এলাকার মানুষকে ব্লাকমেইল ও প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়া অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
ভুয়া চিঠি, স্মারক নম্বর ও তারিখের বিষয়টি প্রাক্তন সহকারী কমিশনার( ভূমি) মোঃ সামিন সারোয়ারের স্বাক্ষরিত আপত্তি পত্রের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন,মোঃ কামরুল ইসলাম তাং পরিকল্পিতভাবে আমাকে এবং উপজেলা প্রশাসনকে বিতর্কিত করতেই এহেন কর্মকাণ্ড করছেন।
এব্যাপারে,খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুয়েল সাংমা এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার কাছে অভিযোগ আসলে আমি অবশ্য দেখবো, তবে এ বিষয়ে অভিযোগ ফৌজদারীতে করলে ভালো হয়।
অন্যদিকে মোঃ কামরুল ইসলাম তাং জাল জালিয়াতির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি জালিয়াতি করেনি, আমার কাছে যথেষ্ট পরিমাণ তথ্য প্রমাণ আছে।
এই জালিয়াতির বিষয়টি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য খালিয়াজুরীবাসী প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।