জাহিদ খান,জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামে “পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের” আওতায় ভলান্টিয়ার ভ্যাকসিনেটরদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান।
সভায় বক্তারা গবাদিপশুর রোগ প্রতিরোধে ভ্যাকসিনের অপরিহার্যতা তুলে ধরে বলেন, পিপিআর ও ক্ষুরারোগ দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে বড় চ্যালেঞ্জ। এসব রোগ নির্মূলে দক্ষ ভ্যাকসিনেটরদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সারা দেশে ৪,৫৮০ জন ভ্যাকসিনেটর নিরলসভাবে মাঠপর্যায়ে কাজ করে প্রাণিসম্পদ সুরক্ষা নিশ্চিত করছেন।
সভায় উপস্থিত ভ্যাকসিনেটররা তাদের অভিজ্ঞতা, সমস্যা ও সুপারিশ তুলে ধরেন। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তাদের মতামত প্রদান করেন এবং প্রাণিসম্পদ সুরক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ আরও জোরদার করার আহ্বান জানান।
সভায় “বাংলাদেশ ভলান্টিয়ার ভ্যাকসিনেটর এসোসিয়েশন”-এর কুড়িগ্রাম জেলা শাখার কমিটি গঠন ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাবিবুর রহমান এবং এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফজলুল হক উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান, বিনামূল্যে ছাগল ও ভেড়ার জন্য পিপিআর টিকা প্রদান কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একইভাবে গরুর ক্ষুরারোগ প্রতিরোধে টিকা প্রদানের উদ্যোগ চলমান রয়েছে। ভ্যাকসিনেটরদের কাজের সম্মানী তাদের নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রদান এবং প্রকল্পে নিয়োজিত ভ্যাকসিনেটরদের চাকরি স্থায়ী করার ব্যাপারে আলোচনা চলছে। এতে খামারিরা নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা ও টিকা সুবিধা পাবে।
পিপিআর রোগ নির্মূল ও ক্ষুরারোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্পের কার্যকারিতা ও গুরুত্বের ভিত্তিতে এক্সটেনশন হয়। আগামী জুলাই মাসে এফএমডি (ক্ষুরারোগ) ভ্যাকসিন বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে এবং এটি বাস্তবায়িত হলে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকবে।
তিনি আরও বলেন, “প্রকল্পের কর্মীসংখ্যা কমে গেলে কাজের ঘাটতি তৈরি হবে। মাঠপর্যায়ে কর্মরত ভ্যাকসিনেটররা প্রাণিসম্পদ খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। যদি সরকার পিপিআর নিয়ন্ত্রণে তাদের ভূমিকা অনুধাবন করে, তবে প্রকল্প বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা কম।”
সভায় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা, প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং কুড়িগ্রাম জেলার ভ্যাকসিনেটররা উপস্থিত ছিলেন।