তরুণরা কীভাবে এগোলে লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারবে তদ্বিষয়ক দুটো কথা।
খারাপ বন্ধুকে এড়িয়ে যাওয়া, নেশা করা, ঘুমিয়ে সময় কাটানো ও রাতদিন ফেসবুকে সময় ব্যয় করা থেকে দুরে থাকা, নারীর পিছনে ছুটতেও বারণ করছি।
তরুণ প্রজন্মকে আমি বলব, আগে নিজেকে গড়তে হবে। নেশা করে, ঘুমিয়ে বা ফেসবুকে সময় দিয়ে জীবনের লক্ষ্যে কখনো পৌঁছুতে পারবে না। মা-বাবাকে ভালবাসতে হবে। পারিবারিক ও সামাজিক হতে হবে। ধৈর্য আর মনোবল শক্ত রেখে অনুশীলন অনুধ্যান সতত নিমগ্ন থাকলে তুমি পারবে। প্রচুর কষ্ট করতে হবে। ইয়াং বয়সে তুমি যত কষ্ট করবে, সামনের বয়সটা তুমি তত সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্যে কাটাতে পারবে।
টাকা ও নারীর পেছনে ছোটার বিষয়ে বলব।
তরুণ প্রজন্ম টাকার পিছনে ছুটবে পরে, আগে কাজের পিছনে ছুটতে হবে, তাহলে টাকা এমনিতেই তোমার পিছনে ছুটবে। অনেক মেয়ে মানুষের পিছনে দৌড়ে সময় নষ্ট করার কোনো কারণ দেখছি না, তুমি নিজে প্রতিষ্ঠিত হও, নিজের পায়ে দাঁড়াও। নারীই তোমাকে খুঁজে নেবে তোমার পজিশন অনুযায়ী। বিশেষ করে, স্কুল ও কলেজে পড়া অবস্থায় বাবার টাকা দিয়ে প্রেমে পড়ে গিয়ে, সেই মেয়েকে প্রেম করে বিয়ে করলে, সেই প্রেমের বিয়েতে কোনো দিন সফলতা আসবে না। নিজেই টাকা ইনকাম করে প্রেমে পড়ে বিয়ে কর সেই প্রেমের বিয়ে বিচ্ছেদ হবে না। নিজের ইনকাম করা পুরুষকে নারীরা বেশি ভালোবাসে। কারণ দিনশেষে নারী যোগ্য ও সন্মানিত লোককে খুঁজে নেয়, যে তাদের সন্মান করতে পারে। শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষা অর্জন করতে হবে। সৎ চরিত্রবান থাকতে হবে। আমি এত লেখা, এত কথা বলতে পারি কারণ আমি সৎ ও ট্রান্সপারেন্ট। সততা, স্বচ্ছতা ও কঠোর পরিশ্রম – এ তিনের সমম্বয় যখন হবে, তোমার মধ্য যখন কাজের গতি তৈরি হবে, তখন তোমাকে আর কেউ আটকে রাখতে পারবে না। মেট্রো ট্রেনের মতো তুমি ছুটবে। আমার জীবনসংগ্রামের অভিজ্ঞতা থেকে কথাগুলো ব্যক্ত করলাম। আমি ভোর ৫টায় ফজরের নামাজ পড়ে উঠে কোম্পানির কাজে বাহির হয়ে পড়তাম। দেশে আর বিদেশে অনেক কষ্ট করেছি লাইফে। শর্টকাট বলতে কোন শব্দ নেই। ১৯৮৩ সালে মেট্রিক পরীক্ষা দিয়ে শুরু। তখন আমার রেজাল্টও বাহির হয়নি। প্রবাসে গিয়ে ২০০০ সালে আমার ক্যারিয়ার শুরু। তার আগে অনেক কষ্ট করেছি। আমার দুই মাস চাকরি ছিল না। সকালে এ দুই মাস পান্তা ভাত খেয়েছি। অনেক সময় না খেয়ে থাকা, পকেটে ১০ টাকা গাড়ি ভাড়া ছিল না।
চলবে
সমাজকর্মী লেখক ও কলামিস্ট