এস আল-আমিন খাঁন, বরিশাল ব্যুরো।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বাংলাদেশ পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট আব্দুর রহমান (৩৬) নামে এজনকে আটক করেছে। আটককৃত আব্দুর রহমান নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এর সক্রিয় সদস্য তিনি রহমতপুর এলাকার মৃত জব্বার মুন্সির ছেলে।রবিবার (২’রা-এপ্রিল-২০২৩ ইং) তারিখ কলাপাড়া পৌর শহরের রহমতপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।
সুত্র, পুলিশের এন্টিটেররিজম ইউনিটের উপ-পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রহিম চৌধুরীর নেতৃত্বে আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে দুইটি এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট, একটি ফিচার ফোন, জঙ্গিবাদ সংশ্লিষ্ট দুটি বই, একাধিক সিম কার্ড ও মেমোরি কার্ডসহ তার নিজ হাতে লেখা বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির প্যাড খাতা জব্দ করা হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আব্দুর রহমান তার ফেসবুক আইডি গ.অ. জধযসধহ গঁলধযরফ ব্যবহার করে নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এবং সংগঠনটির নেতা জসিম উদ্দিন রাহমানির পক্ষে ও সমর্থনে বাংলাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টি ও জননিরাপত্তা বিপন্ন করা, দেশে ত্রাস ও আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে অনলাইন ও সাইবার স্পেস এর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ব্যবহার করে উগ্রবাদী ও জঙ্গি মতবাদ প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছিল।
সূত্রটি আরোও জানায়, আব্দুর রহমান তার ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে অনলাইন ও সাইবার স্পেস এর মাধ্যমে তার ব্যবহৃত এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন দিয়ে বিভিন্ন উগ্রবাদী ফেসবুক পেইজ, বিভিন্ন সশস্ত্র জিহাদি মতাদর্শের ফেসবুক আইডির পোস্ট ও ভিডিও সমূহ পোস্ট শেয়ার এবং সমমনাদের পোস্টে লাইক ও কমেন্ট করে তথাকথিত ইসলামিক খেলাফত প্রতিষ্ঠা করার মতবাদ প্রচার করতো।
এ বিষয়ে এন্টিটেররিজম ইউনিটের উপ-পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রহিম চৌধুরী বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামি আব্দুর রহমান অজ্ঞাত সহযোগী আসামিদের সহায়তায় ও যোগসাজসে নিষিদ্ধ ঘোষিত সত্তার সদস্য দাবি করে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট এর মাধ্যমে অনলাইনে নিষিদ্ধ সত্তার সমর্থন করার আহবান করে অপরাধ সংঘঠনের ষড়যন্ত্র ও চেষ্টা করে। আসামিকে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রবিবার দুপুরে আদালতের সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কলাপাড়া থানায় আব্দুর রহমানসহ অজ্ঞাত আসামিদের নামে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরোও বলেন, এন্টিটেররিজম ইউনিট, বাংলাদেশ পুলিশের একজন পদস্থ কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করবেন। তদন্তের স্বার্থে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড চাওয়া হতে পারে বলে জানান তিনি।