কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলার কৈয়ারবিলে ভূমিদস্যুদের হামলায় নিরীহ টকিপ্রভা দেবী আহত হওয়ায় চট্রগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে এক প্রতিবাদ সভা ও মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
গত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে বাংলাদেশ ব্রহ্ম সনাতনী পরিষদের উদ্যোগে কুতুবদিয়াস্থ কৈয়ারবিল নিবাসী টকি প্রভা দেবীর উপর ভূমিদস্যু মহলের হামলার প্রতিবাদে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্রহ্ম সনাতনী পরিষদের চেয়ারম্যান নিতাই ভট্টাচার্য্য, সাংবাদিক অরুন নাথ, বাংলাদেশ ব্রহ্ম সনাতনী পরিষদের প্রচার সম্পাদক উজ্জ্বল চৈতন্য ব্রহ্মচারী, মাতাজি কাজল রানী, ভূক্তভোগী চিন্তাহরণ নাথ, টকি প্রভা দেবীসহ মন্দিরের অন্যান্য ভক্তবৃন্দ। উল্লেখ্য যে, ভুক্তভোগী চিন্তাহরণ নাথ, টকি প্রভা দেবী বংশানুক্রমে ওয়ারিশী হিসেবে কুতুবদিয়াস্থ কৈয়ারবিল এলাকায় বসবাস করে আসছে। উক্ত বসবাসকৃত পৈতৃক দখলী ভিটেভূমির এক অংশ বিরোধীয় ভুমি বিষয়ে কক্সবাজার জেলা জর্জ বিজ্ঞ আদালতে মামলার রায়ে প্রাপ্ত হয়ে উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে সংলিষ্ট প্রসাসন বাদী ভিকটিম এর স্বামী চিন্তাহরন নাথ বরাবরে দখল বুঝিয়ে দিয়ে বিরোধীয় ভূমিতে লাল পতাকা উওোলন করে দেয়।
এর পরবর্তী সময় গত শুক্রবার (১৫ই মার্চ) অনুমান সকাল ১১টার দিকে উক্ত ভূমির পাশ্ববর্তী এক মন্দিরের নাম ভাঙিয়ে এলাকার কিছু উচ্ছংখল আইন অমান্যকারী ব্যক্তি ভিকটিমের স্বামী চিন্তাহরন নাথের দখলীয় জায়গার কাটা তারের বেষ্টনি ভেঙ্গে কুচক্রীরা এ জায়গাটি জবর দখল করার চেষ্টা করে।
এমতাবস্হায় ভিকটিম টকি দেবী বাঁধা প্রদান করিলে তাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।বিরোধকৃত বিজ্ঞ আদালতের রায়ে প্রাপ্ত জায়গার সাথে ধর্মীয় মন্দিরের জায়গার কোন সংলিষ্টতা নেই। কিন্তু মন্দিরের সম্পত্তি চিন্তাহরণ নাথের পৈতৃক সম্পত্তি যা কতিপয় ভূমিদস্যু মহল সংঘবদ্ধ হয়ে মন্দিরের নাম ব্যবহার করে অবৈধভাবে ভুক্তভোগীর জায়গা দখল করার জন্য অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক চিন্তাহরণ নাথ জমি বুঝে পাওয়ায় ভূমিদস্যু মহল এক পর্যায়ে ইট দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে টকি প্রভা দেবীর উপর হামলা চালায়। তফসীলোক্ত সম্পত্তি জমি থেকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে জমি চারিদিকে বেষ্টিত কাটা তারের বেড়া ও প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত লাল পতাকা উপড়ে ফেলে দিয়ে ভুক্তভোগীকে বার বার হয়রানী করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে ভূমিদস্যু মহল। এ ব্যাপারে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে সর্বস্তরের প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী।