1. info@www.dainikdeshbarta.com : bissho sangbad Online : bissho sangbad Online
  2. info@www.dainikdeshbarta.com : Dainik Desh Barta :
মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:২৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নিয়ম বহির্ভূতভাবে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান বিভাগে সুযোগ না দেওয়ায় মানববন্ধন করলো রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ এর শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বিশিষ্ট সমাজসেবক মো. দেলোয়ার হোসেনের ইন্তেকাল জমকালো আয়োজনে দোহাজারী গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করলেন জাতীয় মহিলা ফুটবলর ঋতুপর্ণা চাকমা চট্টগ্রামে অসহায়দের মাঝে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এর শীতবস্ত্র বিতরণ বোয়ালখালীতে পিক-আপ মোটর সাইকেল সংঘর্ষে  দুই মোটরসাইকেল আরোহী আহত বোয়ালখালীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আইল্ল্যার অউন ফোয়ানি উৎসব চন্দনাইশ বরকলে জামায়াতে ইসলামীর শীতবস্ত্র বিতরণ এপেক্স ক্লাব অব পটিয়ার উদ্যোগে শিশুদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ। ইক্বরা মডেল মাদ্রাসায় সবক নিয়েছে শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ চাটগাঁইয়া নওজোয়ান’র

এই যেন এক অন্য রকম অভিজ্ঞতা! (অভিজ্ঞতা সঞ্চার)সাখি আকতার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪
  • ৫৭৪ বার পড়া হয়েছে

সারাদিন বৃষ্টি, রাস্তা ঘাট স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে আছে বাইরে বের হতে মনে চাই না,কিন্তু কিছু করার নাই টিউশন যেতে হবে যে,সাইরা কে পড়াতে যাই না কতদিন। “রেমাল ঘূর্ণিঝড়” এর ভয়ে কত দিন ঘর থেকে বের হই না। আম্মু টা আমার একদম একা গ্রামে, “রেমাল ঘূর্ণিঝড়”কেমনে সামাল দিল কে জানে?আমাদের চট্রগ্রামে তো নাকি রেমাল তার আসল রূপ দেখাল। ফেসবুকে,নিউজ পেপারে,টেলিভিশনে এর ভয়াবহতা জানা গেল।এসব ভাবতে ভাবতে টিউশন যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে গেলাম। আজকের আবহাওয়া একটু স্বাভাবিক মনে হলো তাই আর ছাতা নিলাম না,মনে জোর আছে আজকে বৃষ্টি আসবে না,দূর বৃষ্টি হলেই বা কি!একদিন তো বৃষ্টি বিলাস করা যায় এই বলে বুক ভরা সাহস নিয়ে ছাতা ছাড়া বের হয়ে গেলাম। হল গেটে এসে ভাবছি মেট্রোরেল দিয়ে যাবো নাকি লোকাল বাসে করে যাবো? দুটো দিয়েই তো যাওয়া যাবে,যেহেতু আমি ফার্মগেট যাবো। কিন্তু আমি তো লক্ষ্য ঠিক করেছি,এই ঢাকা শহরে নিত্যদিন কোন না কোন অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করবো।যেহেতু মেট্রোরেলে সব ব্যস্ত মানুষ তাদের সময় সেভ করতে উঠে তাই মেট্রো করে গেলে নিশ্চিত তাড়াতাড়ি পৌঁছে যাবো , কিন্তু আমার আর অভিজ্ঞতার সঞ্চার হবে কই। তাই আস্তে আস্তে হাঁটা শুরু করলাম হল গেট থেকে টিএসসি দিয়ে মেট্রো স্টেশন না গিয়ে সোজা শাহবাগের উদ্দেশ্যে। আবহাওয়া টা বেশ শীতল ছিল, ঢাকায় সচরাচর এরূপ আবহাওয়া পাওয়া মুশকিল।কারণ এই ঢাকা শহর তো ইট পাথরের নগরের শহর,এটা তো ছোট শিশুদের শৈশব মাটি করার শহর,এটা তো সেই শহর যেখানে হাজার মানুষ আর্তনাদ করে স্বজনদের থেকে দূরে থাকার বেদনায়,এখানে তো শুধু গাড়ির যানজট,আর গাড়ির হর্ণের শব্দ শুনা যায়,পাখির কলতান, কোকিলের কুহু কুহু তো শুনা যায় না। রেমালের প্রভাবে আজ প্রকৃতি আমাকে গ্রাম বাংলার শান্ত পরিবেশের অনুভূতি দিচ্ছে, হ্যাঁ এটা অপ্রিয় হলে ও সত্যি আজ একটু শান্তি লাগছে। হাঁটছি টিএসসি থেকে একটু দূরে শাহবাগের কাছে যা কিনা কেন্দ্রীয় মসজিদ নামে পরিচিত, এই জায়গায় এসে আমি থমকে গেলাম। কারণ দশ দিন আগে এই পথে যেই রোগা জীর্ণশীর্ণ মানুষটাকে দেখলাম সে আজও আছে!! সেই একই অবস্থায়!! অথচ আমরা হল থেকে বের হইনি এত দিন বৃষ্টির ভয়ে, পাখিরা তাদের আপন নীড়ে ফিরে গেল সেই কবেই, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখাও ইন্টারনেট বা অনলাইনে চলে গেছে সেই কবেই তো। কিন্তু এই মানুষটা কতদিন অভুক্ত হয়ে আছে, সে তার বাড়ি ফিরে নি, পরনে ময়লা জামা, আর নিজের উঠায় শক্তি টাও নাই,মাথায় চুল নাই নেডা হয়ে আছে মাথাটা, শরীরে কোনো মাংস আছে বলে আমি আবিষ্কার করতে পারলাম না। মায়া হলো এই মধ্যবয়সী মানুষটার জন্য,জানি না কার বাবা, কার ভাই,কোন মায়ের ছেলে, কোন মায়ের কোলখালি করে এত দিন রাস্তায় পরে আছে। কিন্তু আমিও তো অপারগ আমার না মানুষটাকে অতিক্রম করে যেতে কষ্ট হচ্ছে। ইস! আমার যদি ঢাকায় একটা বাড়ি থাকতো নিয়ে যেতাম সঙ্গে করে। কিন্তু আমি তো হলে থাকি,হল ছাড়া আমার ই বা থাকার জায়গা কই। এসব ভাবতে ভাবতে হাঁটা শুরু করলাম,একটু পরে দেখি আরেকটা সুন্দর দৃশ্য।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট