1. info@www.dainikdeshbarta.com : bissho sangbad Online : bissho sangbad Online
  2. info@www.dainikdeshbarta.com : Dainik Desh Barta :
বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
চটগ্রাম-১২(পটিয়া)আসনে নৌকার প্রার্থী বিজয়ের লক্ষ্যে খরনা ইউনিয়ন আ,মীলীগের বর্ধিত সভা একজন স্বেচ্ছাসেবক একটি সমাজের জন্য আশীর্বাদ -গিয়াস উদ্দিন চন্দনাইশে হাফেজ নগর দরবার শরীফ জিয়ারতে এলেন আওলাদে রাসুল হযরত মাওলানা শাহজাদা সৈয়্যদ হোসাইন রাইফ নুরুল ইসলাম রুবাব মাইজভান্ডারী (মা:জি:আ) ধলই- বাড়বকুন্ড সড়ক অটোরিক্সা চালক সমবায় সমিতি লি:এর নির্বাচন সম্পন্ন ১৫তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে ৫ আলোকিত ব্যক্তিকে সম্মাননা দিল প্রয়াস মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়রানির উদ্দেশ্যে  মামলা গ্রামবাসীর মানববন্ধন চট্টগ্রাম-১৫ আসনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির প্রার্থী এম সোলাইমান কাসেমী’র মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা চাঁপাইনবাবগঞ্জে অফিসার্স ক্লাবের টেনিস কোর্টে ২টি ককটেল বিস্ফোরণ। চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের জন্য শান্তিপূর্ণ সহবস্থান তৈরী করতে হবে—দীপংকর তালুকদার এমপি

ইসলামে শ্রমিক, কর্মচারী ও কৃষকের অধিকার -লায়ন মোঃ আবু ছালেহ্

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০২৩
  • ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

নবীদের জীবনের দিকে তাকালে দেখা যাবে তাঁদের অধিকাংশ বস্তুবাদী এই দুনিয়ার কোনও ‘সোকল্ড নোবেল’ পেশায় ছিলেন না।যেমনঃ

আদম (আ.) : তিনি ছিলেন কৃষক। চাষ-বাস করতেন।
শীস (আ.) : পেশায় ছিলেন তাঁতী। তুলো, রেশমগুটি থেকে সুতো কেটে কাপড় বানাতেন। চাষবাস করতেন বলেও জানা যায়।
ইদ্রিস (আ.) : পেশায় দর্জি। তিনি প্রথম সুঁইয়ের আবিষ্কার ও ব্যবহার করেন। শীস আ. কাপড় বানাতে জানতেন। আর ইদ্রিস আ. তা সেলাই করে জামায় রূপান্তর করেন।
নূহ (আ.) : তিনি জীবিকার দিক থেকে ছিলেন কাঠমিস্ত্রি ।
হুদ (আ.) : ব্যবসার সূচনা করেন। পশুপালন করতেন। আধুনিককার অনেকটা মুদি দোকানের মত প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির ব্যবসা করতেন।
ছালেহ্ (আ.) : পেশায় ছিলেন গোয়ালা। উটের পালন আর এর দুধ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
লুত (আ.) : তাঁর সম্প্রদায়ের মত তিনিও ছিলেন চাষী। ইতিহাসেও তাঁর পাণ্ডিত্য ছিল।
ইব্রাহিম (আ.) : রাজমিস্ত্রি তথা নির্মাণশ্রমিক ছিলেন। পশুপালনও করেছেন।
ইসমাইল (আ.) : তিনিও পিতা ইব্রাহিমের মত একই পেশা অবলম্বন করতেন। সেইসঙ্গে শিকারও করতেন। বহুভাষী ছিলেন।
ইসহাক (আ.) : পেশাগতভাবে ছিলেন মেষপালক, রাখাল।
ইয়াকুব (আ.) : তিনিও ছিলেন রাখাল।
ইউসুফ (আ.) : তিনি সরকারি কর্মে নিয়োজিত ছিলেন। কৃষি দফতরের প্রতিষ্ঠাতা ও ঘড়ির আবিষ্কারক।
আইয়ুব (আ.) : তিনিও ছিলেন কৃষক।
শুয়াইব (আ.) : তিনিও ছিলেন কৃষক।
মুসা (আ.) : রাখাল ছিলেন, অন্যের কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
হারুন (আ.) : পেশায় আমলা ছিলেন।
দাঊদ (আ.) : জীবিকা নির্বাহ করেছেন কামারের কাজ করে।
সুলাইমান (আ.) : শাসক ছিলেন।
যুল-কিফল (আ.) : তিনি পেশায় ছিলেন বেকারি কর্মী। রুটি বানাতেন।
ইলিয়াস (আ.) : পেশায় তাঁতী, দর্জি আর কৃষিকাজ করেছেন।
ইউনুস (আ.) : তিনি তাঁর পিতার মতই জেলে ছিলেন। মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
উযাইর (আ.) : পেশাগত জীবনে মালি ছিলেন।
যাকারিয়া (আ.) : তিনি ছিলেন কাঠমিস্ত্রি।
ইয়াহিয়া (আ.) : তাঁর পেশা ছিল শিকার ও ফলমূলাদি সংগ্রহ।
ঈসা (আ.) : তিনি জীবিকা হিসেবে শিকার বেছে নিয়েছিলেন।
মুহাম্মদ (সা.) : তিনি ছিলেন রাখাল। অন্যের ব্যবসায় কর্মচারী হিসেবেও কর্মরত ছিলেন।

কেবল সুলাইমান , ইউসুফ আর হারুন আ. ব্যতীত বাকিদের জন্য আল্লাহ্‌ নির্ধারণ করেছেন প্রান্তিক ও দরিদ্র মানুষের জীবিকা। আর এজন্যই ইসলামে নিচু পেশা বলে কোনও ধারণার অস্তিত্ব নাই। পেশার দরুণ কাউকে অবজ্ঞা করাটা গুনাহর কাজ। প্রকৃতপক্ষে প্রায় সমস্ত নবীর জীবিকা এইরকম হওয়ার অন্যতম কারণ ছিল তাঁরা যেন সমাজের বঞ্চিত, অবহেলিত আর অনগ্রসর এই শ্রমজীবী মানুষকে পুরোপুরি বুঝতে পারেন। তাঁদের অধিকার ও প্রয়োজনের ব্যাপারে সচেতন থাকেন। ফলে ইসলামে শ্রমিক ও কর্মচারীর অধিকার, কৃষকের অধিকারের পক্ষে যে স্ট্যান্ড তা আজ পর্যন্ত অন্য কোন রাষ্ট্র ব্যবস্থা এর ধারে কাছেও যেতে পারে নাই। মহান রাব্বুল আলামিন যুগে যুগে নবী রাসুলগনের মাধ্যমে আমাদের সমাজের শ্রেণী বৈষম্যকে পরিহার করতে তাগিদ দিয়েছেন। মুসলিমরা একে অপরের ভাই এই কথাটির মাধ্যমে তা প্রকাশ পায়।

লেখকঃ কবি ও সাংবাদিক

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট