মোঃ আলমগীর লোহাগাড়া)
পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই চট্টগ্রাম দক্ষিণ লোহাগাড়া উপজেলায় অবৈধভাবে চলছে ইটভাটা। অবৈধ এসব ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্ট নির্দেশ দিলেও তা মানা হচ্ছে না। বরং ইটের মৌসুম আসাতে ভাটাগুলোতে কাজ চলছে জোরেশোরে। আর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও দেখা যাচ্ছে না উপজেলা প্রশাসনের ও মাঝেমধ্যে লোক দেখানো অভিযানের দেখা মেলে লোহাগাড়ায় পরিবেশ অধিদপ্তরের।
পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসন জিরো টলারেন্স থাকার কথা বলা হলেও প্রকাশ্যে পরিবেশের ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে লোহাগাড়ার ইটভাটাগুলো, ভাটার অনেক মালিক জানায়, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে অবৈধ ভাটার কার্যক্রম।
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় সচল এবং অচল মিলে প্রায় ৪৮ এর অধিক ইটভাটা রয়েছে তন্মধ্যে ৩৫ টির মত ইটভাটা ইতোমধ্যে চালু রয়েছে যার কোনটিরই বৈধ কাগজ পত্র নেই। অধিকাংশ ইটভাটা গড়ে উটেছে জনবসতি এলাকায় এবং শিক্ষা প্রতিষ্টানের আশেপাশে। সকাল সন্ধ্যা গ্রামের এই সরু রাস্তা দিয়ে চলছে ইটবোঝাই ডাম্পার ট্রাকগুলো, অনেক সময় অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনাও ঘটছে, প্রাণহানিও হয়েছে বেশ কয়েকবার। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়া আসা করে প্রচন্ড ঝুঁকি নিয়ে, তাদের অভিভাবকরা থাকে দুঃশ্চিন্তায়।
অন্যদিকে ভাটাগুলোতে পুড়ানো হচ্ছে গাছ, যে কারণে সাবাড় হয়ে যাচ্ছে বনাঞ্চল। টাকার লোভে অনেকে বনের গাছ কেটে উচ্চ মূল্যে ভাটায় বিক্রি করছে সেই অবৈধ কাজে জড়িয়ে যাচ্ছে বন বিভাগও। ভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়া আলসার, মরনব্যাধী ক্যান্সারের মত রোগ ছড়াচ্ছে অজপাড়া গাঁয়ে।
রাত নামলেই প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে স্কাভেটর দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে সেই ইটভাটাগুলোতে, ফলে দিন দিন ফসলি জমি কমে যাচ্ছে উপজেলাটিতে। চাষের জমির উপরিভাগের মাটি নিয়ে যাওয়াতে উর্বতা হারাচ্ছে কৃষি জমি, ব্যাহত হচ্ছে কৃষি কাজ। কৃষি জমি কমে যাচ্ছে এবং জমির উর্বরতা কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়ছে কৃষক-কৃষানিরা।
এ বিষয়ে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইকবাল হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন- ইটভাটার কারণে কৃষি জমি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, খাদ্য সংকট হতে পারে এবং আলসার, ক্যানসার, ফুসফুসে সমস্যা, হাফাঁনিসহ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ইনামুল হাসানের কাছে ইটভাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ইটভাটা গুলো তারা তাদের মত করে চালাচ্ছে ঐ’ইসবের আমি কিছু জানি না।