1. info@www.dainikdeshbarta.com : bissho sangbad Online : bissho sangbad Online
  2. info@www.dainikdeshbarta.com : Dainik Desh Barta :
শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১১:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
অসহায় ক্যান্সার রোগীর উন্নত চিকিৎসার দায়িত্ব নিলো প্রয়াস বোয়ালখালীতে আমন ধানের নমুনা শস্য কর্তন ও মাঠ পরিদর্শন সারাশব্দ ছাড়া এসে পড়ে ওয়াগন ট্রেন, অল্পের জন্য রক্ষা শতশত মানুষের প্রাণ ইসলামী ফ্রন্টের সংবাদ সম্মেলন: আবু নাছের জিলানীর মুক্তি না দিলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট অনুষ্ঠিত হতে হবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। , হ-ত্যাচেষ্টার অভিযোগে খল অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল এবং তার সহযোগী মো. ফয়সালের বিরুদ্ধে মা-মলা জুলাই জাতীয় সনদের আলোকে গণভোটের ব্যালটে উপস্থাপনীয় প্রশ্ন নির্ধারণ করেছে সরকার। সোনাইমুড়ীতে ঝটিকা মিছিল করেছে আ.লীগ কয়েকদিন যাবৎ আওয়ামী ফ্যাসিবাদিরা দেশব্যাপী নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার নাশকতার প্রস্তুতির অভিযোগে বোয়ালখালীতে তিনজন আটক

আমরা রুকু এবং সিজদায় যা যা বলি সেটা নিয়ে কখনো চিন্তা করেছেন কি? হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।

  • প্রকাশিত: শনিবার, ৯ মার্চ, ২০২৪
  • ৫০১ বার পড়া হয়েছে

আমরা রুকুতে বলি “সুবহানা রব্বিয়াল আযীম”। অর্থঃ “আল্লাহ আপনি কতই না পবিত্র এবং আপনি সবচেয়ে শক্তিধর।”

আমরা সিজদায় বলি, “সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা’. অর্থঃ ”আল্লাহ আপনি কতই না পবিত্র এবং আপনার মাকাম সবচেয়ে উঁচু”।

নামাজের মধ্যে শারীরিক দিক থেকে সবচেয়ে নড়বড়ে এবং দুর্বল অবস্থানটা হচ্ছে “রুকু”। রুকুতে থাকা অবস্থায় কেউ যদি নামাজরত বান্দাকে হালকা করেও একটা ধাক্কা দেয়, সে ধপাস্‌ করে মাটিতে পড়ে যাবার সম্ভাবনা আছে। চমৎকার ব্যাপারটা হচ্ছে, আমরা যখন নামাজে সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় থাকি, তখন বলি “আল্লাহ আপনি সবচেয়ে শক্তিশালী!” আবার, আমরা যখন নামাজের মধ্যে সবচেয়ে নিচু অবস্থানে থাকি, তখন আল্লাহকে বলি যে, “আল্লাহ আপনি সবচেয়ে উঁচু!”

সুবহানাল্লাহ! কেবলমাত্র এই কনসেপ্টটা আমাদের নামাজকে অন্য আরেক ডাইমেনশানে নিয়ে যায়! নামাজ পড়তে পড়তে যেখানেই মন চলে যাক না কেন, রুকু আর সিজদাহ দেওয়ার সময় মনে পড়ে যায় যে, “আল্লাহ সবচেয়ে শক্তিধর এবং আল্লাহই সর্বোচ্চ!”

তারপর রুকু থেকে উঠতে উঠতে আমরা বলি – “সামি আল্লাহু লিমান হামিদা” অর্থ: “আল্লাহ সেই ব্যক্তির কথা শোনেন, যে তাঁর প্রশংসা করে।”

তারপর পরই দাঁড়িয়ে সোজা হয়ে আমরা আল্লাহর প্রশংসা করি এবং বলিঃ “রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ’ অর্থ, “হে আল্লাহ! যাবতীয় প্রশংসা কেবল তোমারই।” অনেকটা যেন আমাদের কথাগুলি যে আল্লাহ সুবহানাতা’আলা শুনবেন, সেটা নিশ্চিত করে রাখলাম।

বলুন তো ঠিক সিজদায় যাবার আগে কেন এটা নিশ্চিন্ত করে নিলাম যে, আল্লাহ আমার সব কথা শুনবেন?

কারণ, সিজদায় বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে কাছে চলে যায় এবং সিজদা হচ্ছে দুয়া করার মোক্ষম সময়।

রসূল (সা.) বলেছেন, ‘সিজদারত বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে নিকটবর্তী। সুতরাং সে সময় তোমরা বেশি বেশি দুয়া করো।’ (মুসলিম, হাদিস : ৪৮২)।

তাই আল্লাহর সাথে বান্দার এই মহামিলনের ঠিক আগ মুহূর্তে “সামি আল্লাহু লিমান হামিদা” reminder দিচ্ছে যে, আল্লাহর কাছে যা চাওয়ার সিজদায় গিয়ে উজাড় করে চেয়ে নাও। তিনি তোমার সব আকুতি-মিনতি শুনছেন। একটাও মাটিতে পড়বেনা। প্রতিটা দুয়া রব্বুল আলামিনের দরবারে মেহমান হয়ে পৌঁছাবে।

মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা আমাদেরকে উপরোক্ত আলোচনা গুলোর প্রতি গুরুত্ব সহকারে আমল করার তাওফিক দান করুন, আমীন।

লেখক: বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট