স্টাফ রিপোর্টার:
আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের হেটিখাইন গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা পেছু মিয়ার পরিবারের উপর সন্ত্রাসী ফোরকান গং কর্তৃক হামলা ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম একাডেমি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা পেছু মিয়ার বড় ছেলে মুহাম্মদ শহীদুল আলম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মুহাম্মদ পেছু মিয়া একজন স্বাধীনতা যুদ্ধের রণাঙ্গনের সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে এবং সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর অনুপ্রেরণায় আনোয়ারা থানার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনসুর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইউছুফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবদুল হকের নেতৃত্বে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তাছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবদুছ ছবুরের প্রেরিত পটিয়া থেকে ৪৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান এর নেতৃত্বে বীর পেছু মিয়ার বাড়িতে দীর্ঘ ১ মাস মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান করে যুদ্ধ কার্যক্রম চালান। তিনি (পেছু মিয়া) হেটিখাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পশ্চিম হেটিখাইন বাইতুন নুর শাহী জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ও দাতা সদস্য। আমি (শহীদুল আলম) একজন ব্যবসায়ী এবং হাইলধর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি, ছোট ভাই মোহাম্মদ শফিকুল হক দুলু একজন বেসরকারি চাকুরীজীবী ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য এবং হেটিখাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি, ছোট ভাই মুহাম্মদ একরামুল হক মামুন হেটিখাইন গ্রামের একজন ব্যবসায়ী ও ছোট ভাই মুমিনুল হক হামিদ চট্টগ্রাম শহরের একজন ব্যবসায়ী ও আনোয়ারা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য এবং ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। আমি ও আমার পুরো পরিবার আপাদমস্তক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জ্বীবিত। তিনি আরো বলেন-হেটিখাইন গ্রামে মহান স্বাধীনতার পক্ষে যে কয়েকটি পরিবার সর্বপ্রথম এগিয়ে এসেছিল তারমধ্যে আমাদের পরিবার অন্যতম। পৃথিবীর ইতিহাসে সত্যের বিপরীতে যেভাবে মিথ্যা ছিল, ঠিক সেভাবে আমাদের অঞ্চলে ৭১ এর ঘাতক, আলবদর, আলশামস’র দোসর, জামাত-শিবিরের এজেন্ট ফোরকান গং তারই ধারাবাহিকতায় এ এলাকায় সমাজ ও রাষ্ট্র বিরোধী বিভিন্ন কার্যকলাপে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত। এলাকায় এমন কোন অপকর্ম নাই যা ফোরকান গং সংঘটিত করে না। উক্ত ফোরকান গং মুখোশধারী ভদ্রবেশী পরষ্পর সংঘবদ্ধ, অস্ত্রধারী, জোর-জুলুমবাজ, ভূমিদস্যু, জবর দখলকারী, চাঁদাবাজ, অস্ত্র, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী লোক। উক্ত ফোরকান গং সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাং এর নেতা মোঃ শিবলু ও ইমরান হোসেন সবুজকে নিয়ে নিরীহ লোকজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জায়গা দখল, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী মূলক কর্মকান্ড সংঘটিত করে থাকে।
যে কোন মুহুর্তে আমার পিতাসহ আমার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশ করতে পারে।
নির্যাতিত এ পরিবার নিরাপত্তা চান। তাঁরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, গণতন্ত্রের মানসকন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, মাননীয় আইনমন্ত্রী, মাননীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক, চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট মহলের সহযোগিতা ও হস্তক্ষেপ কামনা করেন।