জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার:-
সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের সাথে মিল রেখে পৃৃথিবীর যে কোন প্রান্তে চাঁদ দেখা যাওয়ার উপর নির্ভর করে সাতকানিয়া মির্জারখীল ও চন্দনাইশ জাহাঁগিরিয়া শাহসুফি দরবার শরীফের অনুসারীরা একই সাথে আজ ১ মার্চ থেকে রোজা পালন শুরু করেছেন। এই দুই দরবারের অনুসারীদের মধ্যে চট্টগ্রামের, পটিয়া, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, আনোয়ারা, ফটিকছড়ি, বোয়ালখালীর ৬০ গ্রামসহ উত্তর চট্টগ্রামের সন্দীপ, হাটহাজারীর বিভিন্ন গ্রামে রোজা পালন করছেন এই সকল দরবারের পীরের অনুসারীরা। এছাড়াও দেশের ঢাকা, বরিশাল, ঝালকাটিসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই সকল দরবারের অনুসারীরা রোজা পালন করে যাচ্ছে। গত শুক্রবার রাতে তারাবি ও সেহেরির মধ্য দিয়ে রোজা শুরু করেছেন তারা। দীর্ঘ ২০০ বছরের অধিক সময় ধরে সারা বিশ্বের মুসলমানদের একই সঙ্গে ধর্মীয় অনুশাসন পালনের ধারণা এবং আরব বিশ্বের সঙ্গে মিল রেখে এভাবে রোজা, ঈদ পালন করে আসছেন তারা। চন্দনাইশ কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের জাহাঁগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া দরবারের শাহজাদা মাওলানা মো. মতি মিয়া মনসুর বলেছেন, ‘আমরা হানাফী মাযহাবের অনুসারী হিসেবে আমাদের নিকটবর্তী সময়ের কম ব্যবধান বিবেচনায়, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে চাঁদের অবস্থান জেনে মক্কা ও মদীনা শরীফে তথা আরব বিশ্ব বা মধ্যপ্রাচ্যে চাঁদ দেখার খবর পেয়ে আজ শনিবার আমাদের প্রথম রোজা পালন শুরু করেছি। জাহাঁগিরিয়া শাহ্সুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ ও সাতকানিয়া দরবার শরীফের অনুসারীরা দক্ষিণ চট্টগ্রামের যেসব গ্রামে রোজা পালন করবেন সেগুলোর মধ্যে চন্দনাইশের পশ্চিম এলাহাবাদ, কাঞ্চননগর, মাইজপাড়া, জুনিঘোনা, আব্বাসপাড়া, সৈয়দাবাদ, দক্ষিণ কাঞ্চননগর, খুনিয়ারপাড়া, হাশিমপুর, কেশুয়া, সাতবাড়িয়া, মোহাম্মদপুর, হারালা, চন্দনাইশ পৌরসভার বুলার তালুক, হরিণারপাড়া, ফকিরপাড়া, সর্বলকাজী বাড়ি, বাশঁখালীর জলদি, কালিপুর, গুনাগড়ি, গন্ডামারার মিঞ্জিরিতলা, সনুয়া, সাধনপুর, আনোয়ারার তৈলার দ্বীপ, বাথুয়া, বারখাইন, বোয়ালখালির চরনদ্বীপ, খরনদ্বীপ, লোহাগাড়ার আমিরাবাদ, চুনতি, বরহাতিয়া, পুটিবিলা, উত্তর সুখছড়ি, আদুনগর, সাতকানিয়ার মির্জাখিল, বাংলাবাজার, মইশামুড়া, খোয়াছপাড়া, বাজালিয়া, কাঞ্চনা, গাটিয়াডাঙ্গা, পুরাণগর, মনেয়াবাদ গ্রামসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামে ৬০টি গ্রামে রোজা পালন শুরু করেছে।