পটিয়া প্রতিনিধি *
রাষ্ট্রের প্রয়োজনে রাষ্ট্রীয় ভাবে বিভিন্ন জিনিসপত্র ক্রয় করতে হয় আর ক্রয় ক্ষমতা নিয়ে যে দূর্নীতি হয়েছে এটা এখন মানুষের মুখে মুখে, যেমন বালিশ সমাচার একটি ৭০০ টাকার বালিশ,৬৫০০ টাকা দেখিয়ে কোটি টাকা দূর্নীতি হয়েছে, একটি পর্দার দাম যেখানে ২৫০০ টাকা সেখানে একটি পর্দার ক্রয় দেখানে হয়েছে ৩৭ লাখ টাকা,এখানেও শত কোটি টাকা দূর্নীতি হয়েছে, কয়লা মওজুদ থাকার কথা ৪৭ লক্ষ টন অথচ পাওয়া গেল শুধু ৪৯ হাজার টন,এখানে দূর্নীতি হয়েছে ৪৬ লাখ টনেরও বেশি,মেডিকেলের জিনিষ পত্র কিনতে যে দূর্নীতি হয়েছে তার হিসাব ক্যালকুলেটর ও ফেইল মারবে। ডেংগু নিয়ে সরকারি দায়িত্ব শীল মন্ত্রীরা বলেন ওটা বি এন পির মিথ্যাচার, প্রপাগাণ্ডা, পরে যখন হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হয় এবং সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যু হয় তখন সেই সময়কার সরকারের টনক লড়ে। ডেংগু তাড়ানোর লক্ষ্যে মন্ত্রী বাহাদুর, সরকারী উর্ধতন কর্মকর্তারা টাই পড়ে,চোখে সানগ্লাস দিয়ে পরিস্কার রাস্তায় ঝাড়ু দেয়া শুরু করে দেয় এখানে বি এন পির কথাই সত্য হয়। হাজারো দূর্নীতির মধ্যে দুই একটা যখন কোন কারনে ফাঁস হয় সেটা ঢাকার জন্য বি এন পির মিথ্যা দূর্নীতি কে সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করে। গনতান্ত্রিক আচরন আওয়ামিলীগ ভুলেই গিয়েছিল, দিনের ভোট রাতে নিয়ে ফেলার কারণে তাদের এই অন্ধকারে পথ চলাটাকেই সহায় করে নিয়েছিল, গনতান্ত্রিক দলকে নিশাচর দলে পরিনত করেছিল সে সময়কার আওয়ামিলীগকে মনে হতো গনতন্ত্রের বিপক্ষের শক্তি। দায়িত্বশীল নেতারা গায়ের জোরে যেমন ইচ্ছে তেমন বলেছিলো।জনগনের যে চোখ, কান,খোলা আছে, বুঝবার ক্ষমতা আছে সেটা তারা গুর্নাক্ষরে টের পাচ্ছিলনা। আওয়ামিলীগ মানে হচ্ছে উল্টো পথে চলা। আলাল ভাইয়ের মতো বলতে হয়, এই আওয়ামিলীগ হচ্ছে সেই আওয়ামিলীগ যারা আশি বছরের মানুষের নাম দেয় শিশু মিয়া,এই আওয়ামিলীগ হচ্ছে সেই আওয়ামিলীগ যারা একজন কুচকুচে কাল মানুষকে বলে এর নাম হচ্ছে সু্ন্দর আলী। এই আওয়ামিলীগ হচ্ছে সেই আওয়ামিলীগ এক জন ধবধবে সাদা মানুষকে বলবে এর নাম কালা মিয়া।এই আওয়ামিলীগ হচ্ছে সেই আওয়ামিলীগ যারা রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করে তাদেরকে বলে এরা ভিক্ষুক না এর নাম বাদশা মিয়া,এই আওয়ামিলীগ হচ্ছে সেই আওয়ামিলীগ কোটি কোটি টাকা যার আছে তার নাম দেয় গরীবুল্লাহ, এই আওয়ামিলীগ হচ্ছে সেই আওয়ামিলীগ যার নামাজ কালাম নাই,ধর্ম নাই, কর্ম নাই,তার নাম বলে উনি ঈমান আলী।এই আওয়ামিলীগ হচ্ছে সেই আওয়ামিলীগ যে মহিলা জীবনেই শহরে যায়নি তার নাম দিয়েছে শহর বানু।এই হচ্ছে স্বৈরাচারী আওয়ামিলীগ। এই আওয়ামিলীগের হেড লাইট নাই,ব্রেকলাইট নাই,সিংগেল লাইট নাই এমনকি ব্রেক পর্যন্ত্য নাই। আর এই ব্রেক ছাড়া গাড়ি হওয়ার কারনে আহরহ দূর্ঘটনার মধ্যে দেশ পতিত হয়েছিল।শেয়ারবাজার লুটপাট, উইনিপে টু,স্পিক এশিয়া,হলমার্ক,ডেসটিনি,ব্যাংক লুট,স্বর্নলুট,খাবিখা লুট,রডের বদলে বাঁশ,এক একটি প্রকল্পে দুই তিন বার টাকা বরাদ্দ নিয়েও কাজ সম্পাদন না করা। এগুলো সব জনগনের মনে গভীর ভাবে রেখাপাত হয়ে আছে। সুযোগ বুঝে জনগন রাস্তায় নেমে আসেছিল। এটি যে কোন সরকারের জন্য একটি শিক্ষা। ক্যাসিনো নিয়ে মানুষের উপলব্ধি আওয়ামী লীগ সরকারে নৈতিক চরিত্রের পতন হয়েছিল।
নিবেদক-ঃ
আলহাজ্ব হারুন রশিদ চৌধুরী
যুগ্ন আহবায়ক বি এন পি
পটিয়া উপজেলা।