অরুন নাথ,পটিয়া প্রতিনিধি:
আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনে চট্টগ্রাম পটিয়া-১২ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতিকে মনোনয়ন দিয়ে যে মূল্যায়ন করেছেন আমি নির্বাচিত হলে অবহেলিত পটিয়ার তৃনমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন করে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করা হবে। বিগত ১৫ বছর ধরে দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার পরও তৃনমূলের নেতাকর্মীরা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল। তাদের মনের ব্যাথা বেধনা আমি জানি। এবার মূল্যায়নের সেই সূর্বন সুযোগ এসেছে, তাই যেনতেন ভাবে সেই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না। আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, সকলস্তরের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাব। প্রধানমন্ত্রীর এই ভিশন বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে পটিয়াকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম পুরাতন রেল স্টেশনে চট্টগ্রামের পটিয়া-১২ সংসদীয় আসনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠন এবং তৃনমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এরপর রেল স্টেশন থেকে অর্ধ কয়েক হাজার আওয়ামী লীগের তৃনমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা ও আনন্দর্যালীর মধ্যদিয়ে শত শত গাড়ি বহর যোগে মিছিল স্লোগান বাধ্য বাজনা সহকারে নিয়ে আসা হয় পটিয়া উপজেলা পরিষদের সামনে।
বিকেল সাড়ে চারটার দিকে পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এক বিশাল সংবর্ধনা ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর আলম এবং সাধারণ সম্পাদক এম এন এ নাছিরের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটিয়া-১২ সংসদীয় আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।
বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আইয়ুব আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দাশ, মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ, উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম আবদুল মতিন চৌধুরী, মাস্টার সিরাজুল ইসলাম, মোসলেহ উদ্দিন মনসুর, এড. জহির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ম ম টিপু সুলতান চৌধুরী, হায়দার আলী রনি, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মোহাম্মদ ফারুক, বোরহান উদ্দিন এমরান, খোরশেদুল আলম, গোলাম ফারুক ডলার, মো. জসিম, পৌর মেয়র আইয়ুব বাবুল,
প্রকৌশলী মনির উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম নবী, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোজাহেরুল আলম চৌধুরী, নাছির উদ্দিন, জুলকারনাইন চৌধুরী, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম জহুর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ছৈয়দ চেয়ারম্যান, সাংগঠনিক সম্পাদক ঋষি বিশ্বাস, আওয়ামী লীগ নেতা নাজিম উদ্দীন পারভেজ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এম এ রহিম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সাংবাদিক আ ন ম সেলিম উদ্দিন চৌধুরী, হাবিবুল হক চৌধুরী, ডি এম জমির উদ্দিন, লিটন বড়ুয়া, চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, এহসানুল হক, মাহবুবুর রহমান, ইনজামুল হক চৌধুরী জসিম, বখতিয়ার উদ্দিন, এম এ হাসেম, রনবীর ঘোষ টুটুন, শাহীনুল ইসলাম শানু, বি এম জসিম, জাকারিয়া ডালিম,উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুর নাহার করিম, সাধারণ সম্পাদক সাজেদা বেগম, কাউন্সিলর গোফরান রানা, জসিম উদ্দিন, রুপক সেন, সরওয়ার কামাল রাজিব, শফিউল আলম, গিয়াস উদ্দিন আজাদ, ইয়াসমিন চৌধুরী, বুলবুল আকতার, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মাঈনুদ্দিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমিন, জেলা যুবলীগ নেতা আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম,সাইফুল হাসান টিটু, সদস্য আবদুল হান্নান লিটন, আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া, জসিম উদ্দিন, গোলামুর রহমান চৌধুরী মঞ্জু, আইয়ুব আলী চৌধুরী, জয় প্রকাশ, জাহাঙ্গীর আলম, রবিউল হোসেন রুবেল, নুর আলম সিদ্দিকী, রফিকুল আলম, যুবলীগ নেতা বুলবুল হোসেন,তারেকুর রহমান তারেক, ইকবালুর রহমান ওপেল, রবিউল হোসেন ইবলু,
প্রনব দাশ, মো. শফি, অজয় দাশ, সৈয়দ নুরুল আবসার, সৈয়দ হাসান, রুবেল দাশ বাবু প্রমুখ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের পটিয়া-১২ সংসদীয় আসনে যারা দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন তারা প্রত্যেকে যোগ্য এবং আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা। পটিয়া আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তাদের প্রত্যেকের অবদান আছে। তাদের মধ্য থেকে আমাকে মনোনীত করায় মাননীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মনোনয়ন বোর্ডের সকল সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমি আজ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী সকল নেতাকে সাথে নিয়ে কাজ করবো।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যার পর প্রতিবাদ করতে রাজপথে নামি। এখনো আছি জাতির পিতার আদর্শের পতাকা তলে। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় রাজনীতি করেছি একাত্তরের পরাজিত শক্তি জামাত-শিবিরের সন্ত্রাস, নৈরাজ্য মোকাবেলা করে। যতদিন বাঁচি জাতির পিতার আদর্শ বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাব।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ পরবর্তী সময় থেকে আজ অবদি তৃনমুল আওয়ামী লীগের কোন প্রার্থী পাইনি। আজকে আমাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দিয়েছেন। আপনারা আমাকে সবাই একটি একটি করে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে নৌকাকে ভরিয়ে দিবেন। আমি নৌকাভর্তি ভোট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে যেন বলতে পারি আমি আপনার নৌকা বিজয়ী করে আপনার কাছে এসেছি।
এ ছাড়া রেল ষ্টেশন থেকে আসার পথে শান্তিরহাট পথসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি।এ সভায় উপস্হিত ছিলেন চটগ্রাম দক্ষিন জেলা আওয়ামীলীগ উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি ড.জুলকারনাইন চৌধুরী জীবন,উপজেলা আ,মীলীগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সস্পাদক আবু সুফিয়ান টিপু,চেয়ারম্যান জাকারিয়া ডালিম,উপজেলা আ,মীলীগ নেতা এমরান মনা,ইউনিয়ন আ,মীলীগ সাধারন সম্পাদক এড.হোসাইন রানা সহ আ,লীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।